টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা
তিন গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে যেভাবে পালিয়ে যান চালক
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কুচিয়াপাড়া এলাকার টোল প্লাজায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি গাড়ি চাপা দিয়ে ‘কৌশলে’ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বাসচালক মোহাম্মদ নূরুদ্দিন।
শনিবার (২৮ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব ১০-এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) তাপস কর্মকার।
তিনি বলেন, র্যাব-১০ ও র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজ এলাকা থেকে নূরুদ্দিনকে (২৯) আটক করে। তার বাড়ি ভোলার দৌলতখানের মধ্য জয়নগরে।
নূরুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে অটোরিকশাতে করে আবদুল্লাহপুর যান তিনি। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে করে তিনি নারায়ণগঞ্জে ফুপাতো বোনের বাসায় যান। সেখান থেকে র্যাব তাকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে নূরুদ্দিন র্যাবকে বলেন, গত ১০ বছর ধরে তিনি বাস, ট্রাক ও পিকআপসহ নানা ধরনের গাড়ি চালিয়ে আসছেন। তবে তার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ ২ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। তিনি যে বাসটি চালাচ্ছিলেন, সেটির ফিটনেস সনদ ছিল না। বাসটি অনেকদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়েছিল। মেরামতের পর সেদিনই সড়কে নামানো হয়। বাসচালক প্রথম থেকেই বুঝতে পারেন ব্রেকে সমস্যা ছিল। মালিককে সেটা জানালে তিনি আস্তে আস্তে চালিয়ে যেতে বলেন। দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে দাবি করেছেন চালক।
বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন (২৬) র্যাবকে জানিয়েছেন, তিনি গাঁজা সেবন করতেন। তবে শুক্রবার বাস চালানোর সময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন না
এর আগে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনকে আটক করা হয়। এদিন বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কুচিয়াপাড়া এলাকার টোল প্লাজায় বাসের ধাক্কায় দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে থাকা ৬ জন নিহত হন।
আরটিভি/এসএপি
মন্তব্য করুন