রাজধানীতে আতশবাজি ফুটিয়ে খ্রিষ্টীয় নতুন বর্ষবরণ
কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাজধানীতে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ব্যাপক আতশবাজি ফুটানো হয়েছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে বরণ করে নিতে উল্লাসে মেতে ওঠেন। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলতে থাকে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ লিখে সবাইকে শুভেচ্ছা জানানো। এভাবেই ২০২৫ সালকে বরণ করে নিল বাঙালি জাতি।
বুধবার (১ জানুয়ারি) রাত ১২টা বাজতেই আতশবাজির ছটায় রঙ্গিন হয়ে উঠে রাতের আকাশ। নববর্ষের শুরুতে আতশবাজির পাশাপাশি, ফানুস উড়ানো ও উচ্চস্বরে গান বাজানো ও প্রায় বাড়ির ছাদে রাতভর চলেছে ডিজে পার্টির উন্মাদনা। তবে তীব্র শব্দে শিশু ও রোগীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
তবে এবারও বিধিনিষেধের বেড়াজালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বহিরাগত মানুষ প্রবেশ করতে পারেন। তাই বর্ষবরণে তারুণ্যের সেই উদ্দামতা দেখা যায়নি। এর আগে সন্ধ্যা থেকেই তল্লাশিচৌকি বসানোয় সেখানে বাইরের মানুষ যেতে পারেননি। তবে রাত ১২টা বাজতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শ শিক্ষার্থী টিএসসিতে জড়ো হয়ে উল্লাস প্রকাশের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান।
এদিকে, আইন অমান্য করে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া, সুত্রাপুর, ওয়ারী, শাঁখারীবাজার, চকবাজার, লালবাগ, হাজারীবাগ, আজিমপুর, নিউমার্কেট, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন স্থানে নতুন বছরের প্রথম প্রহরে মুহুর্মুহু আতশবাজি ফুটানোসহ বিভিন্ন সড়কে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ঢাকাবাসী।
এর আগে ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে যেকোনো অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত নিষিদ্ধ ছিল। পাশাপাশি, সব বার বন্ধ রাখা এবং হোটেলগুলোর সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজনের শর্ত জারি করা হয়।
আরটিভি/কেএইচ
মন্তব্য করুন