২০২৫ সালের বর্ষপণ্য আসবাবপত্র
২০২৫ সালের জন্য ফার্নিচার বা আসবাবপত্রকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১ জানুয়ারি) নতুন বছরের প্রথম দিন পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসবাবপত্রকে ২০২৫ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা। মানুষের কাজই হলো নিজের মন মতো কাজ করা। বাণিজ্যমেলা মানুষকে নিজের উদ্যোগকে ও সৃজনশীলতাকে তুলে ধরার সুযোগ দেয়। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
এ সময় নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের রপ্তানিকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এ জন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।
এদিকে কোনো পণ্যকে বর্ষপণ্য ঘোষণাই যথেষ্ট নয়, বরং উপযুক্ত কর্মকৌশল হাতে নেওয়া জরুরি বলে অভিমত অর্থনীতিবিদদের। ফার্নিচার খাতের
উদ্যোক্তারা বলছেন, এ খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে তৈরি পোশাক খাতের মতো করে নীতি সহায়তা দিতে হবে সরকারকে। হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেডের মার্কেটিং ডিরেক্টর মাশিউর রহমান বলেন, যদি সরকার আসবাবপত্রকে বর্ষসেরা পণ্য হিসেবে ঘোষণা দেয় তাহলে নীতি সহায়তাও দিতে হবে। তাহলেই এটির যথার্থ প্রয়োগ সম্ভব হবে।
আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল বলেন, বর্ষপণ্য শুধু মুখে ঘোষণা করলেই হবে না। এটির যথাযথ প্রসারে সহায়তা দিতে হবে। রপ্তানি বাড়াতে কাঁচামাল আমদানির জন্য তৈরি পোশাকের মতো বন্ড সুবিধা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ভারত, নেপাল ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে বাংলাদেশের ফার্নিচার রফতানি হয়ে থাকে।
এবারের বাণিজ্য মেলায় বিশ্বের ৭টি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানসহ থাকছে ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানকে প্রাধান্য দিয়ে হবে জুলাই চত্বর, ছত্রিশ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন। ই-টিকিটের ব্যবস্থা থাকায় প্রবেশ পথে রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
মন্তব্য করুন