আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করলে সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সরকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সরকারের সর্বস্তরে শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর ৩০এ নম্বর বিধিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন ও বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর যেকোনও বিধান লঙ্ঘন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর আওতায় অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। কোনও সরকারি কর্মচারী এ বিধিমালার কোনও বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আওতায় আসবেন। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা-বহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারীর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ বিবিধ কর্মসূচি পালনের কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, জনসেবা প্রদান এবং রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সরকারি কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সরকারি কর্মচারীদের সুশৃঙ্খল, দায়িত্বশীল ও পেশাদার আচরণের ওপর জনপ্রশাসনের সফলতা নির্ভর করে। সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারীর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ বিবিধ কর্মসূচি পালনের কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
‘ইদানীং লক্ষ করা যাচ্ছে, সরকারের কোনও কোনও সিদ্ধান্ত, আদেশ বা সংস্কার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়ার আগেই বিবেচ্য বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্যসহ বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর পরিপন্থি।’
এতে আরও বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ৩০এ বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও সরকারি কর্মচারী—
(এ) সরকারের অথবা কর্তৃপক্ষের কোনও সিদ্ধান্ত বা আদেশ পালনে জনসম্মুখে আপত্তি উত্থাপন করিতে বা যেকোনও প্রকারে বাধা প্রদান করিতে পারবেন না, অথবা অন্য কোনও ব্যক্তিকে তা করার জন্য উত্তেজিত বা প্ররোচিত করিতে পারবেন না।
(বি) সরকারের বা কর্তৃপক্ষের কোনও সিদ্ধান্ত বা আদেশ সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনও অসন্তুষ্টি বা বিরক্তি প্রকাশ করতে অথবা অন্যকে তা করার জন্য প্ররোচিত করতে অথবা কোনও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে বা অন্যকে অংশগ্রহণ করার জন্য প্ররোচিত করতে পারবেন না।
(সি) সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনও সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য অনুচিত প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন না।
(ডি) সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বা কোনও শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যে কোনোভাবে অসন্তুষ্টি, ভুল বুঝাবুঝি বা বিদ্বেষের সৃষ্টি করিতে অথবা অন্যকে প্ররোচিত করতে বা সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবেন না।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর যেকোনও বিধান লঙ্ঘন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর আওতায় অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। কোনও সরকারি কর্মচারী এ বিধিমালার কোনও বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আওতায় আসবেন। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা-বহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
চাকরির বিধি লঙ্ঘনের দায়ে মঙ্গলবার একজন উপসচিবকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরটিভি/একে
মন্তব্য করুন