• ঢাকা বুধবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১
logo

পলকের উদ্দেশে আদালত

বিচার ব্যবস্থা অ্যানালগ না হলে কারাগারে বসেই হাজিরা দিতে পারতেন

আরটিভি নিউজ

  ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:২৭
বিচার ব্যবস্থা এনালগ না হলে কারাগারে বসেই হাজিরা দিতে পারতেন: পলককে আদালত
ফাইল ছবি

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলককে উদ্দেশ করে আদালত বলেছেন, বিচার ব্যবস্থা অ্যানালগ করে রেখেছেন, আপনি আইসিটি মন্ত্রী থাকাকালে কেন ডিজিটাল কোর্ট করে দেননি? না হলে আদালতে আসতে হতো না। কারাগারে বসে হাজিরা দিতেন।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে এসব কথা বলেন।

জবাবে পলক আদালতকে জানান, করোনার সময় চালু করেছিলাম। অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল, চেষ্টা করেছি। পরে আর সেটা এগোয়নি।

এ সময় দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন আদালত। জুনায়েদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামলের ছেলে শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতিকেও গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন বলেন, জুনায়েদ আহমেদ পলক যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেল-হাজতে আছেন। তিনি সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা ১ এর মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। জেল হাজতে থাকা এজাহার নামীয় এ আসামিকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেওয়া প্রয়োজন।

এছাড়া জ্যোতিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসামি শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতি, তার বাবা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পরস্পর যোগসাজশে ১৯ কোটি ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫০২ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতি সেসব সম্পদ নিজ ভোগ দখলে রাখেন এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে নিজে এবং ওই প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যবহৃত ব্যাংক হিসাবে মোট ৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭২ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করেন।

আদালতে পলকের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, পলক সাহেব নিয়মিত ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেছেন। তার সম্পদের সব উৎস সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে। তার যে সম্পদ ছিল সেই সম্পদই আঁচর। তার বাজারমূল্য বেড়েছে। যে কারণে তার মানিলন্ডারিংয়ের যে অভিযোগ তার কোনো উপাদান নেই।

তবে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি শুনানিতে বলেন, মানিলন্ডারিং দেশে-বিদেশে যেকোনো জায়গায় হতে পারে। মামলার তদন্ত হয়ে আসুক। তাদের মতো জায়গায় থেকে দুর্নীতি করা, এ অবস্থায় যদি তাদের জামিন দেওয়া হয়। তাহলে অন্যরা উৎসাহিত হবে।

এ সময় বিচারক বলেন, তার (পলক) এতো কম টাকা, সম্পদ তো অনেক কম। পি কে হালদার তো পাঁচ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। শুনানি করার সময় আপনারা তো বলেন হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি। পরে আদালত তার জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন। এরপর তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরটিভি/কেএইচ

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই কারাগারে
সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ
চট্টগ্রাম আদালতের ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি গায়েব
১৫ পুলিশ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস কারাগারে