শেখ হাসিনার ফেরতের বিষয়ে ভারত নিশ্চুপ
ক্ষমতার সঙ্গে দেশ ছেড়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এ বিষয়ে ভারত নিশ্চুপ হয়ে আছে। কোনো জবাবই দিচ্ছে না তারা। এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি আপনাদের মতো আমিও পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। তাকে ফেরত চেয়ে আমরা চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা এখনও জবাব দেয়নি।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
এরই মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এর পরপরেই ভারতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর খবর আসে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তখন থেকেই তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর তারিখ উল্লেখ করেনি সংবাদমাধ্যমটি।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)। তবে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে যে গুঞ্জন রয়েছে, সে কথাও অস্বীকার করা হয়েছে। যদিও ভারতে শরণার্থী কিংবা আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই।
অথচ শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে গত মাসের ২৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা।
এ বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এমন উদ্যোগকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে নয়াদিল্লির ওপর চাপ বৃদ্ধির প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, গত ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুম এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী ১২ জনকে হাজির করতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরটিভি/এএইচ/এস
মন্তব্য করুন