• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ গড়ার কাজ এখনো বাকি : ওবায়দুল কাদের

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১০ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:২১

স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও বিজয় সুসংহত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার কাজ এখনও বাকি। যা অর্জনে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমাদের অঙ্গীকার, আমাদের শপথ আমরা সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব। এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের বিজয়কে আমরা সংহত করে জাতির পিতার স্বপ্নকে বিনির্মাণের লক্ষ্যকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।

এর আগে সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় সেখানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৬টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধু ভবনে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এছাড়া আজ বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনাসভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ।

১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রক্তস্নাত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। পূর্ণতা পায় বাঙালির বিজয়। বঙ্গবন্ধু তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদাররা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমণ্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তাকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করা হয়।

বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন।

আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গণনা শেষে লন্ডন-দিল্লি হয়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। এরপর প্রতি বছর কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি নানা আয়োজনে পালন করে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।

এসএস

আরও পড়ুন

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বঙ্গবন্ধু রেলসেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু
‘বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথকে ‘হিরো’ বানাতে গিয়ে অন্যদের অস্বীকার করা হয়েছে’
কুবিতে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন
চীনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে নামানো হলো শেখ মুজিবের ছবি