সরকারের জুলাই ঘোষণাপত্রে অবশ্যই শহীদ ও আহতদের স্বীকৃতি দিতে হবে: হাসনাত
সরকারের জুলাই ঘোষণাপত্রে অবশ্যই শহীদ ও আহতদের স্বীকৃতি দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লার দেবীদ্বারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণকালে এ দাবি জানান তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনার থেকে প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। যেহেতু সরকার দায়িত্ব নিয়েছে যে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এটির ঘোষণা করা হবে, তাই আমরা ঘোষণা করিনি। সেই জায়গা থেকে আমরা গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরার জন্য মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছি। প্রান্তিক জনপদ থেকে যারা আন্দোলনে নেমে এসেছিল, সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের কাছে ছুটে যেতে চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। তাই পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে তাদের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে সেটি প্রতিফলিত হতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ যেভাবে চাইবে, সেভাবেই চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে। সেখানে ফ্যাসিবাদ, দুঃশাসন ও অপশাসন থাকবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, আমরা আশা করছি, সরকার ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থান ও বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। সরকারের জুলাই ঘোষণাপত্রে অবশ্যই শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দিতে হবে। এ ছাড়া ১৯৪৭ থেকে একাত্তরের পথযাত্রা এবং ১৯৭১ থেকে চব্বিশের পথযাত্রার সুস্পষ্ট বর্ণনা থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই এবং সংগ্রামের দীর্ঘ সময়ের যে ইতিহাস রয়েছে, সেই ইতিহাসের স্বীকৃতি থাকতে হবে। আওয়ামী জাহেলিয়াতের সময় খুন, গুম, হত্যা নির্যাতন, নিপীড়নের বর্ণনা থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, একাত্তর ও চব্বিশ দুটিই বাঙালি জাতির ইতিহাসের লড়াই। সুতরাং একটিকে দিয়ে আরেকটি মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়। একাত্তরের লড়াই ছিল পাকিস্তানের অত্যাচার, নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে। ঠিক একইভাবে চব্বিশের লড়াইটি ছিল আওয়ামী জাহেলিয়াত ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে।
আরটিভি/এসএইচএম/এস
মন্তব্য করুন