তামাকপণ্যে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে বিএনটিটিপির স্বাগত
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকপণ্যে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ স্বাগত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বিএনটিটিপি জানায়, তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন থেকে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও করহার মুদ্রাস্ফীতি অনুযায়ী বৃদ্ধি করার দাবি জানালেও তা মানা হয়নি। ফলে দেশে জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টি অনুভব করে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় যে হারে সব স্তরের সিগারেটের মূল্য ও কর হার বৃদ্ধি করেছে তা কিছুটা হলেও মুদ্রাস্ফীতিকে আমলে নেওয়া হয়েছে। এতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতিবাচক ও কার্যকর অবদান রাখবে।
সিগারেটের মূল্য ও কর হার বৃদ্ধিতে নতুন অধ্যাদেশের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনটিটিপির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, সিগারেটের মূল্য ও কর হার বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত ইতিবাচক।
তিনি বলেন, তামাক কোম্পানি যাতে নকল সিগারেটের মাধ্যমে কর ফাঁকি দিতে না পারে সেজন্য পাইকারি, খুচরা বিক্রয়কারী ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর ও বিক্রয়কেন্দ্রগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবারে করহার কমাতে হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করে এ–সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
নতুন অধ্যাদেশে নিম্ন স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম মাত্র ১০ টাকা বাড়িয়ে ৬০ টাকা করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ স্তরের করহার ৬০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার সিগারেট ১০ টাকা বৃদ্ধি করে ৮০ টাকা, উচ্চস্তরে ২০ টাকা বৃদ্ধি করে ১৪০ টাকা এবং অতিউচ্চস্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার মূল্য ২৫ টাকা বৃদ্ধি করে ১৮৫ টাকা করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই তিন স্তরের কর হার ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে।
আরটিভি/আরএ/এআর
মন্তব্য করুন