• ঢাকা রোববার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১
logo

মোবাইল-ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট প্রত্যাহার না করলে এনবিআর ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি

আরটিভি নিউজ

  ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৩৪
ছবি: সংগৃহীত

মুঠোফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার ওপর বাড়তি ভ্যাট এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার না করলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবায় নতুন করে ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম ও আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের, বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর প্রমুখ।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তাদের খুশি করতেই তাদের পরামর্শে এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমরা ভেবেছিলাম ৫ই আগস্টের পর আর রাজপথে দাঁড়াতে হবে না। কিন্তু আজ দুঃখের সঙ্গে আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হলো। গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনা না করে কারো সঙ্গে আলোচনা না করে রাতের আঁধারে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা জনগণের সঙ্গে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টির শামিল। এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আমরা এনবিআর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করাসহ কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।

ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম ও আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তার মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয়। এ সেবাখাত ধ্বংসের অপচেষ্টা আগেও করা হয়েছে, এখন আবার নতুন করে ১০ শতাংশ এসডি ও সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত করায় গ্রাহকে ভোগান্তি যেমন বাড়বে, একইভাবে এ সেবাখাত ধ্বংস হয়ে যাবে।

আইএসপিএবি’র সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তে ছোট ছোট উদ্যোক্তারা যেমন হুমকির মুখে পড়বে, ঠিক একইভাবে গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝার চাপ বাড়বে। ফলে ইন্টারনেট সেবা বিমুখ হবে মানুষ।

প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের বলেন, নতুন করে করের বোঝা সরকারকে ১০ নম্বর সতর্ক সংকেতের মুখে ঠেলে দিয়েছে। হঠকারী এ সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।

বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, কারও সঙ্গে আলোচনা না করে ইন্টারনেট সেবায় কর আরোপ করা এক ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি দূরে থাক, গ্রাহকরাও এ সেবা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারবে না। এতে এ খাত বড় হোঁচট খাবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও অংশ নেন প্রযুক্তিবিদ ফিদা হক, পাঠাও’র সিইও ফাহিম আহমেদ, ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিনিধি আনিস, রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।

আরটিভি/এমএ

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে যা বললেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জে করই দিতে হবে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা
ভয়েস ও ইন্টারনেটে কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক: মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন