ইজতেমায় যেসব জায়গায় গাড়ি পার্কিং করতে হবে
দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা গাড়িগুলোর পার্কিংয়ের জন্য ঢাকায় জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্র্যাফিক বিভাগ।
বুধবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অতিথিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ সমবেত হবেন। বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য জায়গা নির্ধারণ করেছে।
যেসব জায়গায় পার্কিং করা যাবে
চট্টগ্রাম বিভাগের গাড়ির জন্য গাউসুল আজম এভিনিউ (১৩ নং সেক্টর রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্ত হয়ে গরিবে নেওয়াজ রোড), ঢাকা বিভাগের জন্য সোনারগাঁও জনপথ চৌরাস্তা হতে দিয়াবাড়ী খালপাড় পর্যন্ত, সিলেট বিভাগের জন্য উত্তরার ১২ নং সেক্টরের শাহ মখদুম এডিনিউ, খুলনা বিভাগের জন্য উত্তরাস্থ ১৬ ও ১৮ নং সেক্টরের খালি জায়গা, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের জন্য প্রত্যাশা হাউজিং, বরিশাল বিভাগের জন্য ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন, ঢাকা মহানগরীর জন্য উত্তরার শাহজালাল এভিনিউ, নিকুঞ্জ-১ এবং নিকুঞ্জ-২ এর আশপাশের খালি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে রেইনবো ক্রসিং থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামপুরা ব্রিজ হতে প্রগতি সরণী পর্যন্ত রাস্তা ও রাস্তার পার্শ্বে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না।
গাড়ির নিরাপত্তায় নির্দেশনা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রত্যেককে নিজের গাড়ির প্রতি খেয়াল রাখতে বলেছে ডিএমপি। তারা বলছে, নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করতে হবে। এছাড়া মালিক ও চালক একে অপরের মোবাইল নাম্বার বিনিময় করে রাখতে হবে। যেন বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।
ডাইভারশন সংক্রান্ত নির্দেশনা
ডাইভারশন পয়েন্টসমূহ (শুধু দুই পর্বের আখেরি মোনাজাতের জন্য প্রযোজ্য):
# মহাখালী ক্রসিং
# হোটেল রেডিসন গ্যাপ
# প্রগতি সরণী
# কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২
# ধউর ব্রিজ
# বেড়িবাঁধ সংলগ্ন উত্তরা ১৮ নং সেক্টরের প্রবেশ মুখ
ডাইভারশন চলাকালীন আশুলিয়া থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সকল প্রকার যানবাহন মহাখালী ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণী-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে। কাকলী, মিরপুর থেকে আসা যানবাহনগুলো এয়ারপোর্টের দিকে না গিয়ে হোটেল রেডিসন গ্যাপ এবং কুড়িল বিশ্বরোডে ইউটার্ন করে বা ফ্লাইওভার হয়ে প্রগতি সরণী দিয়ে চলাচল করবে। প্রগতি সরণী থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো বিশ্বরোড ক্রসিংয়ে ইউটার্ন করে বা ফ্লাইওভার দিয়ে কাকলী-মহাখালী রোড ও মিরপুর ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করবে।
এছাড়া ১৪ ও ২১ জানুয়ারি বিমানের অপারেশন্স ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব যাবাহনের চালকরা যেন বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণী হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করেন সে বিষয়ে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
পাশাপাশি বিদেশগামী বা বিদেশফেরত যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যবস্থাপনায় চারটি বড় আকারের মাইক্রোবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেটে ভোর ৪টা থেকে মোতায়েন থাকবে।
এমকে
আরও পড়ুন
- যেভাবে দেশে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধু
- ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছে পরিবার
- যে কারণে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফরের কর্মসূচি পরিবর্তন
মন্তব্য করুন