'বাংলাদেশ ৮টি অগ্রাধিকারভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে'
পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ আট দফা অগ্রাধিকারভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইএসএস) আয়োজিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক এক সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আটটি অগ্রাধিকারভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। বাংলাদেশের প্রথম অগ্রাধিকার নীতি হচ্ছে, ইউরোপের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করা। অর্থনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বাড়ছেও।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক রক্ষা করছে।
আরও পড়ুন-
সমুদ্র সহযোগিতা বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রে সীমানা নির্ধারণ বিষয়ক জটিলতা মীমাংসা হওয়ায় আমরা এ বিষয়ে আরও জোর দিচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আঞ্চলিক অন্তর্ভুক্তিকরণ ও কানেক্টিভিটি বাংলাদেশের আরেকটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রনীতি। সার্ক, বিমসটেক, সাসেক, বিসিআইএম, বিবিআইএন ইত্যাদি আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি প্রকল্পে বাংলাদেশ আরও বেশি ভূমিকা রাখবে।’
এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, ‘নিকটবর্তী প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করার জন্য বাংলাদেশ আরও জোরালো পররাষ্ট্রনীতি অব্যাহত রাখবে। কার্যকরী অর্থনীতি অংশীদারিত্বের জন্য বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ভারত, চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাংলাদেশের আরেকটি অগ্রাধিকারভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতি। আইনের বিচার, মানবাধিকার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে অগ্রাধিকার পাবে। এছাড়া সারাবিশ্বে পিস কিপিং এবং পিস বিল্ডিংয়ের জন্য বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্রনীতি অব্যাহত রাখবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতা পরিবর্তনের বিষয়ে বলেন, ‘সারাবিশ্বের মানুষ এর প্রভাব অনুভব করছে।’
মিয়ানমারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। কিন্তু আমরা দ্বিপক্ষীয়ভাবে এ সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন-
- প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন শুক্রবার
- জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র মানে যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন : প্রধানমন্ত্রী
এসজে
মন্তব্য করুন