আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস’র (এপি) ব্যুরো প্রধান জুলহাস আলম ও বাংলাদেশি বার্তাসংস্থা ইউএনবি’র উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেনসহ মোট ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
একইসঙ্গে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে এসব তথ্য পাঠাতে হবে বলে চিঠিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ।
চিঠিতে বলা হয়, এ ১৪ সাংবাদিকের স্বামী বা স্ত্রী এবং পুত্র-কন্যাসহ তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেনের বিবরণীসহ আনুষঙ্গিক তথ্য পাঠাতে হবে।
তালিকায় থাকা অন্য সাংবাদিকেরা হলেন, বাংলাদেশ জার্নাল’র শাহজান সরদার, ঢাকা ট্রিবিউন’র স্টাফ রিপোর্টার আলী আসিফ শাওন, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক নাদিম কাদির, ডিবিসি নিউজ’র সিনিয়র রিপোর্টার রাজীব ঘোষ ও ডেইলি পিপলস লাইফ’র সম্পাদক মো. আজিজুল হক ভুঁইয়া।
তালিকায় আরও আছেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) স্পোর্টস ইনচার্জ স্বপন বসু, ডিবিসি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার তাহমিদা সাদেক জেসি, চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র রিপোর্টার নীলাদ্রি শেখর কুন্ডু, বাংলা টিভির নজরুল কবীর, গাজী টিভির বার্তা সম্পাদক ইকবাল করিম নিশান, গ্রিন টিভির সাজু রহমান ও চ্যানেল নাইনের সাবেক বার্তাপ্রধান আমিনুর রশীদ।
এর আগে, ৫ জানুয়ারি ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। তার আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছিল বিএফআইইউ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্মের সহযোগী ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এমন সন্দেহে বেশকিছু পেশাজীবীদের ব্যাংক হিসাব তলব ও জব্দ করে বিএফআইইউ।
আরটিভি/একে
মন্তব্য করুন