সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব জাহাঙ্গীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রী মোসাম্মাৎ মোমেনা বেগম ও দুই ছেলে মুহতাসিম আলম ও মুনতাসিম আলমসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। এতে দুদক জানতে পেরেছে, জাহাঙ্গীর আলীমসহ অন্যরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীর আলম ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে গত বছরের ২৮ অক্টোবর পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) থাকাকালীন মো. জাহাঙ্গীর আলমকে (বুলবুল) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় ঘুরে সমাজকল্যাণ সচিব ছিলেন। সর্বশেষ (সরকার পতনের আগে) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ছিলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে ২০ আগস্ট তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) হিসেবে বদলি করা হয়।
রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর গ্রামে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রংপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাহাঙ্গীর আলম (বুলবুল) একই আসনের স্থায়ী বাসিন্দা ও বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা হওয়ায় বিশেষ যোগ্যতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসেন। চাকরিজীবনে ছিলেন আওয়ামী লীগপন্থি সেরা নেতা। সেই সুবাদে ঢাকার অফিসার্স ক্লাবের শীর্ষ নেতা হয়ে ওঠেন তিনি। ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে ২০১৬-১৭ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাহী সদস্য, ২০১৮-১৯ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর টানা দুই মেয়াদে ২০২০-২১ এবং ২০২২-২৩ কার্যনির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে সবশেষ ২০২৪-২৫ কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে হেরে যান তিনি।
আরটিভি/কেএইচ
মন্তব্য করুন