প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জেনেল গ্রুপের চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জেনেল গ্রুপের (রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল কোম্পানি) নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আমের আলি রেজা।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সাইডলাইনে এ সাক্ষাৎ হয়।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
এছাড়া সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মারিনো ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডালিও ফ্যামিলি অফিস-এর প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারী রে ডালিও।
আরটিভি/এমএ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে।
সম্প্রতি নিজেদের লন্ডন প্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটি।
জানা গেছে, স্পেশাল এজেন্ট লা প্রিভোটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের সিনিয়র ট্রায়াল অ্যাটর্নি লিন্ডা স্যামুয়েলস। তিনি দেখতে পান বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মার্কিন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। গত মাসের ৯ তারিখে এফবিআইর একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মানিলন্ডারিং অ্যান্ড লিগ্যাল ইউনিটের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে বিপুল পরিমাণ দলিল বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে এফবিআইয়ের প্রতিনিধি দলটি।
দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত মাসের ১ তারিখে বাংলাদেশে ইইউ ডেলিগেশনের হেড অব কো-অপারেশন মাইকেল ক্রেজার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তৎকালীন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎতে পাচার হওয়া তহবিল প্রত্যাবাসন ও কমিশনের পরিচালন সক্ষমতা বাড়াতে কারিগরি সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা আরও জানায়, ২০১৪ সালে ‘যুক্তরাষ্ট্র বনাম রিজভী আহমেদের মামলায়’ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম প্রথম নজরে আসে। এফবিআইয়ের তদন্তে জয়ের গুরুতর আর্থিক অসদাচরণের বিষয়টি উঠে আসে। বিশেষত জয়ের নামে হংকং এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি এবং লন্ডন ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তরিত করার তথ্য সামনে এসেছে।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিচার বিভাগের একজন বিশেষ এজেন্ট জানিয়েছেন, কেম্যান আইল্যান্ড ও হংকংয়ের শেল কোম্পানির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে ৩০ কোটি ডলার জমা হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনা অনেকাংশেই সত্য। আমরা ভবিষ্যতে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে পারি। এ বিষয়ে আমরা পরে সরাসরি কথা বলব।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। এ অভিযোগ অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) বরাবর পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেপজা ও বেজার আওতাধীন ৯টি অগ্রাধিকার উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শেখ হাসিনা, জয়, হাসিনার বোন শেখ রেহানা, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ওঠা ৭০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে পৃথকভাবে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, আশ্রয়ণসহ আরও কিছু প্রকল্প।
অভিযোগ আছে, শুধুমাত্র রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ৭০০ কোটি ডলারের মধ্যে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকসহ তার পরিবারের নামও রয়েছে। আরও অভিযোগ আছে, ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অস্ত্র সরবরাহের একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করছিলেন টিউলিপ। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছিল।
সম্প্রতি দেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে প্রকাশিত শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বার্ষিক ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা / বাসের ব্রেকে সমস্যা ছিল, চালক নেশা করতেন: র্যাব
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কুচিয়াপাড়া এলাকার টোল প্লাজায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসটির ব্রেকে সমস্যা ছিল এবং চালক নেশা করতেন।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) র্যাব-১০-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বাসচালকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বাসটি অনেক দিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়েছিল। মেরামতের পর সেদিনই সড়কে নামানো হয়। বাসচালক প্রথম থেকেই বুঝতে পারেন ব্রেকে সমস্যা ছিল। মালিককে সেটা জানালে তিনি আস্তে আস্তে চালিয়ে যেতে বলেন। দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে দাবি করেছেন চালক।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন (২৬) র্যাবকে জানিয়েছেন, তার লাইসেন্স নবায়ন ছিল না এবং তিনি গাঁজা সেবন করতেন। তবে শুক্রবার বাস চালানোর সময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন না
এর আগে, শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনকে আটক করা হয়। এদিন বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কুচিয়াপাড়া এলাকার টোল প্লাজায় বাসের ধাক্কায় দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে থাকা ৬ জন নিহত হন।
আরটিভি/এসএপি-টি
৩১ ডিসেম্বর মুজিববাদের কবর রচিত হবে: আসিফ মাহমুদ
৩১ ডিসেম্বর মুজিববাদের কবর রচিত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ঘোষণাপত্রের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিবাদ, মুজিববাদের কবর রচিত হবে।
তিনি আরও বলেন, দলমত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিকের মুক্তির সনদ। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ। ৩৬ জুলাই পূর্ণতা পাক ৩১ ডিসেম্বরে।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একের পর এক রহস্যজনক স্লোগান লিখে আলোচনার জন্ম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা। ফলে সেদিন কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
মূলত শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন চালানো শুরু করেন তারা।
এর মধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেন, ‘এ বছরই হবে। ৩১ ডিসেম্বর। ইনশা আল্লাহ!’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘Comrades, 31st DECEMBER! Now or Never.’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশিদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘All eyes on 31st December, 2024. Now or Never!’
তবে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই প্রক্লেমেশন (ঘোষণা) হবে। সেখানেই ঘোষণা দেওয়া হবে।’
তবে ওই দিন নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না এটা জুলাই প্রক্লেমেশন।’
এর বেশি তিনি কিছু বলতে চাননি।
আরটিভি/এমকে
ছাত্রদল সভাপতির সঙ্গে দীপ্তির বাগবিতণ্ডা, হাসনাতের প্রতিবাদ
উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী মূলত একটি টেলিভিশন টকশোতে ‘টু দ্য পয়েন্ট’ নামে একটি অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের ভূমিকায় থেকে আলোচনায় আসেন। ধৈর্য ও মার্জিত আচরণের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সবার নজর কাড়েন তিনি। সম্প্রতি আবারও আলোচনায় দীপ্তি চৌধুরী। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আলোচনার বিপরীতে হয়েছেন সমালোচিত।
সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব অংশ নেন। এতে ছাত্রসংগঠনের নেতা হয়েও ‘ছাত্রত্ব কেন নেই’ এমন প্রশ্ন ইস্যুতে উপস্থাপকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ছাত্রদল সভাপতি।
এ ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উপস্থাপক দীপ্তি চৌধুরী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবকে জিজ্ঞেস করছেন, আপনার ছাত্রত্ব আছে কিনা? জবাবে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, না, আমার ছাত্রত্ব নেই। এরপর উপস্থাপক আরও জানতে চান তাহলে আপনি কিভাবে ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্বে? এরপরই সভাপতি রাকিব বলেন, এ প্রশ্ন বা কথাগুলো আপনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে জিজ্ঞেস করলে ভালো হতো। পরিপ্রেক্ষিতে দীপ্তি চৌধুরী বলেন, এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার সঙ্গে ফ্যাসিস্ট হাসিনার কোনো সম্পর্ক নেই। একপর্যায়ে উপস্থাপকের সঙ্গে ছাত্রদল সভাপতি তুমুল বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, রেকর্ডিং অনুষ্ঠানের অফ-রেকর্ড কথাবার্তা প্রচার করা সাংবাদিকতার নীতিবিরুদ্ধ। ছাত্রদল সভাপতির সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা সাংবাদিকতার নৈতিকতার বাইরে। ক্লিকবেইট এবং হেনস্থার সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে এসে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অব্যাহত থাকুক।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীপ্তি চৌধুরীকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন অনেকেই। দীপ্তি চৌধুরীর সাংবাদিকতার নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
আরটিভি/একে-টি
সরকারকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
সরকারকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে বলে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সমাবেশে তিনি এ আল্টিমেটাম দেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এতদিন পর্যন্ত আমাদের এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কোনো ঘোষণাপত্র ছিল না। আমরা বলতে চাই, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।
উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ করে হাসনাত বলেন, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আপনারা জেলায় জেলায়, পাড়া-মহল্লায় মানুষের কাছে যাবেন, তারা কী বলতে চায় সে কথাগুলো উঠিয়ে নিয়ে আসবেন।
তিনি বলেন, যারা এখনো ষড়যন্ত্র করছেন তাদের বলতে চাই, আপনাদের ‘আম্মু’ আর দেশে ফিরবে না। যাকে আমরা সীমান্তের ওপারে পাঠিয়েছি তাকে আর এ দেশে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া হবে না।
এ সময় তিনি বলেন, আজ এতদিন হয়ে গেল, এখনো বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে পারিনি। আমরা দেখেছি পিলখানায় দেশপ্রেমিক অফিসারদের একজন একজন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা চাই, শিগগিরই পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। আমরা শাপলা চত্বর ভুলে যাইনি। শাপলাতে লাইট নিভিয়ে রাতের আঁধারে আলেম-ওলামাদের হত্যা করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদের হত্যার সেই বিচার নিশ্চিত করতে হবে। গুম-খুনের বিচার করতে হবে। এ দেশে এখন আর আমাদের কোনো শত্রু নেই। আমাদের একমাত্র শত্রু আওয়ামী লীগ। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
সরকারকে উদ্দেশ করে হাসনাত বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দ্রব্যমূল্য এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আপনি যদি মনে করেন সিন্ডিকেট এক হাত থেকে আরেক হাতে চলে গেছে। তাহলে আপনার কাজটা কী। সিন্ডিকেটদের হাত ভেঙে দিতে হবে। এ ছাড়া কোনো বিপ্লবীর গায়ে যদি হাত ওঠে, এ সরকারকে তার দায়ভার নিতে হবে।
এদিকে বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যম এ কর্মসূচি শুরু হয়।
এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা মো. আবুল হাসান ছেলের স্মৃতিচারণ করেন। সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, অভ্যুত্থান পরবর্তী জুলাই প্রক্লেমেশন বা জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের কথা জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই প্রক্লেমেশন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত আসায় আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সংগঠনটি।
আরটিভি/একে/এআর
বাগদান সারলেন সোহেল তাজ, কনে কে?
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ ৫৫ বছর বয়সে বাগদান সম্পন্ন করেছেন। পাত্রীর নাম শিমু। তিনি ‘আয়রন গার্ল’ হিসেবে পরিচিত।
জানা গেছে, গত রোববার (২৯ ডিসেম্বর) একটি ফিটনেস সেন্টারে বিশেষ মুহূর্তে আংটি বদল করেন তিনি। শিমু, সোহেল তাজের ইনস্পায়ার ফিটনেস সেন্টারের ট্রেইনার।
বাগদান মুহূর্তের একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সোহেল তাজ হাঁটু গেড়ে কনের হাতে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন। এ সময় উপস্থিত সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন এবং হাততালি দিয়ে মুহূর্তটি উদযাপন করছেন। পেছনে বাগদান সংবলিত একটি পোস্টারও দেখা যায়।
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা তাজউদ্দীন আহমদ ছেলে সোহেল তাজ এক সময় সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও বর্তমানে সামাজিক ব্যাধি ও স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে কাজ করছেন।
চার ভাই-বোনের মধ্যে সোহেল তাজ সবার ছোট। বড় বোন শারমিন আহমদ রিতি, মেজো বোন বিশিষ্ট লেখিকা ও কলামিস্ট এবং গাজীপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এবং ছোট বোন মাহজাবিন আহমদ মিমি। সোহেল তাজের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ২০১৯ সালের ৫ জুলাই ছেলে তুরাজ আহমদ তাজকে বিয়ে দেন।
জীবনের নতুন অধ্যায়ে শুভানুধ্যায়ীরা সোহেল তাজকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
সোহেল তাজ ২০০১ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য হন।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সোহেল তাজ। একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদও ছাড়েন। এরপর থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি খুব একটা সামনে আসেননি।
আরটিভি/একে/এআর
সরকারি চাকরিতে হিন্দু প্রার্থীদের নিষিদ্ধের দাবি সঠিক নয়: প্রেস উইং
সম্প্রতি টাইমস অ্যালজেব্রা নামে একটি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ‘সরকারি চাকরিতে হিন্দু প্রার্থীদের নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার’ এমনটি দাবি করা হয়েছে। তবে এ দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে জানিয়েছে চিফ অ্যাডভাইজার (সিএ) প্রেস উইং ফ্যাক্টস।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ধর্মের ভিত্তিতে কোনো নাগরিকের প্রতি বৈষম্য করে না। পোস্টে উল্লিখিত স্বরাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার উদ্ধৃতিটিও মিথ্যা।
টাইমস আলজেব্রার ওই পোস্টে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে হিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। পাস করা নতুন এক সরকারি আদেশে কনস্টেবল থেকে শুরু করে পুলিশের উচ্চ পদে যোগদানে হিন্দু প্রার্থীদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব পদে দেড় হাজারের বেশি হিন্দু প্রার্থীর আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি/এস