কঙ্গোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন: আইএসপিআর
আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর (ডি আর কঙ্গো) সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষে জাতিসংঘের ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। তবে এ সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি সব শান্তিরক্ষী নিরাপদে রয়েছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, ডিআর কঙ্গোতে চলমান সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি সব শান্তিরক্ষী নিরাপদে রয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, সংঘর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ৯ সেনা ছাড়াও মালাউয়ির তিন এবং উরুগুয়ের একজন সেনা নিহত হয়েছেন। তারা সবাই জাতিসংঘের আওতায় শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
আরটিভি/আইএম/এস
মন্তব্য করুন
ছাত্রদল সভাপতির সঙ্গে দীপ্তির বাগবিতণ্ডা, হাসনাতের প্রতিবাদ
উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী মূলত একটি টেলিভিশন টকশোতে ‘টু দ্য পয়েন্ট’ নামে একটি অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের ভূমিকায় থেকে আলোচনায় আসেন। ধৈর্য ও মার্জিত আচরণের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সবার নজর কাড়েন তিনি। সম্প্রতি আবারও আলোচনায় দীপ্তি চৌধুরী। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আলোচনার বিপরীতে হয়েছেন সমালোচিত।
সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব অংশ নেন। এতে ছাত্রসংগঠনের নেতা হয়েও ‘ছাত্রত্ব কেন নেই’ এমন প্রশ্ন ইস্যুতে উপস্থাপকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ছাত্রদল সভাপতি।
এ ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উপস্থাপক দীপ্তি চৌধুরী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবকে জিজ্ঞেস করছেন, আপনার ছাত্রত্ব আছে কিনা? জবাবে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, না, আমার ছাত্রত্ব নেই। এরপর উপস্থাপক আরও জানতে চান তাহলে আপনি কিভাবে ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্বে? এরপরই সভাপতি রাকিব বলেন, এ প্রশ্ন বা কথাগুলো আপনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে জিজ্ঞেস করলে ভালো হতো। পরিপ্রেক্ষিতে দীপ্তি চৌধুরী বলেন, এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার সঙ্গে ফ্যাসিস্ট হাসিনার কোনো সম্পর্ক নেই। একপর্যায়ে উপস্থাপকের সঙ্গে ছাত্রদল সভাপতি তুমুল বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, রেকর্ডিং অনুষ্ঠানের অফ-রেকর্ড কথাবার্তা প্রচার করা সাংবাদিকতার নীতিবিরুদ্ধ। ছাত্রদল সভাপতির সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা সাংবাদিকতার নৈতিকতার বাইরে। ক্লিকবেইট এবং হেনস্থার সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে এসে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অব্যাহত থাকুক।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীপ্তি চৌধুরীকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন অনেকেই। দীপ্তি চৌধুরীর সাংবাদিকতার নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
আরটিভি/একে-টি
সরকারকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
সরকারকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে বলে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সমাবেশে তিনি এ আল্টিমেটাম দেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এতদিন পর্যন্ত আমাদের এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কোনো ঘোষণাপত্র ছিল না। আমরা বলতে চাই, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।
উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ করে হাসনাত বলেন, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আপনারা জেলায় জেলায়, পাড়া-মহল্লায় মানুষের কাছে যাবেন, তারা কী বলতে চায় সে কথাগুলো উঠিয়ে নিয়ে আসবেন।
তিনি বলেন, যারা এখনো ষড়যন্ত্র করছেন তাদের বলতে চাই, আপনাদের ‘আম্মু’ আর দেশে ফিরবে না। যাকে আমরা সীমান্তের ওপারে পাঠিয়েছি তাকে আর এ দেশে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া হবে না।
এ সময় তিনি বলেন, আজ এতদিন হয়ে গেল, এখনো বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে পারিনি। আমরা দেখেছি পিলখানায় দেশপ্রেমিক অফিসারদের একজন একজন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা চাই, শিগগিরই পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। আমরা শাপলা চত্বর ভুলে যাইনি। শাপলাতে লাইট নিভিয়ে রাতের আঁধারে আলেম-ওলামাদের হত্যা করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদের হত্যার সেই বিচার নিশ্চিত করতে হবে। গুম-খুনের বিচার করতে হবে। এ দেশে এখন আর আমাদের কোনো শত্রু নেই। আমাদের একমাত্র শত্রু আওয়ামী লীগ। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
সরকারকে উদ্দেশ করে হাসনাত বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দ্রব্যমূল্য এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আপনি যদি মনে করেন সিন্ডিকেট এক হাত থেকে আরেক হাতে চলে গেছে। তাহলে আপনার কাজটা কী। সিন্ডিকেটদের হাত ভেঙে দিতে হবে। এ ছাড়া কোনো বিপ্লবীর গায়ে যদি হাত ওঠে, এ সরকারকে তার দায়ভার নিতে হবে।
এদিকে বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যম এ কর্মসূচি শুরু হয়।
এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা মো. আবুল হাসান ছেলের স্মৃতিচারণ করেন। সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, অভ্যুত্থান পরবর্তী জুলাই প্রক্লেমেশন বা জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের কথা জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই প্রক্লেমেশন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত আসায় আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সংগঠনটি।
আরটিভি/একে/এআর
বাগদান সারলেন সোহেল তাজ, কনে কে?
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ ৫৫ বছর বয়সে বাগদান সম্পন্ন করেছেন। পাত্রীর নাম শিমু। তিনি ‘আয়রন গার্ল’ হিসেবে পরিচিত।
জানা গেছে, গত রোববার (২৯ ডিসেম্বর) একটি ফিটনেস সেন্টারে বিশেষ মুহূর্তে আংটি বদল করেন তিনি। শিমু, সোহেল তাজের ইনস্পায়ার ফিটনেস সেন্টারের ট্রেইনার।
বাগদান মুহূর্তের একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সোহেল তাজ হাঁটু গেড়ে কনের হাতে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন। এ সময় উপস্থিত সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন এবং হাততালি দিয়ে মুহূর্তটি উদযাপন করছেন। পেছনে বাগদান সংবলিত একটি পোস্টারও দেখা যায়।
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা তাজউদ্দীন আহমদ ছেলে সোহেল তাজ এক সময় সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও বর্তমানে সামাজিক ব্যাধি ও স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে কাজ করছেন।
চার ভাই-বোনের মধ্যে সোহেল তাজ সবার ছোট। বড় বোন শারমিন আহমদ রিতি, মেজো বোন বিশিষ্ট লেখিকা ও কলামিস্ট এবং গাজীপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এবং ছোট বোন মাহজাবিন আহমদ মিমি। সোহেল তাজের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ২০১৯ সালের ৫ জুলাই ছেলে তুরাজ আহমদ তাজকে বিয়ে দেন।
জীবনের নতুন অধ্যায়ে শুভানুধ্যায়ীরা সোহেল তাজকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
সোহেল তাজ ২০০১ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য হন।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সোহেল তাজ। একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদও ছাড়েন। এরপর থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি খুব একটা সামনে আসেননি।
আরটিভি/একে/এআর
সরকারি চাকরিতে হিন্দু প্রার্থীদের নিষিদ্ধের দাবি সঠিক নয়: প্রেস উইং
সম্প্রতি টাইমস অ্যালজেব্রা নামে একটি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ‘সরকারি চাকরিতে হিন্দু প্রার্থীদের নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার’ এমনটি দাবি করা হয়েছে। তবে এ দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে জানিয়েছে চিফ অ্যাডভাইজার (সিএ) প্রেস উইং ফ্যাক্টস।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ধর্মের ভিত্তিতে কোনো নাগরিকের প্রতি বৈষম্য করে না। পোস্টে উল্লিখিত স্বরাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার উদ্ধৃতিটিও মিথ্যা।
টাইমস আলজেব্রার ওই পোস্টে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে হিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। পাস করা নতুন এক সরকারি আদেশে কনস্টেবল থেকে শুরু করে পুলিশের উচ্চ পদে যোগদানে হিন্দু প্রার্থীদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব পদে দেড় হাজারের বেশি হিন্দু প্রার্থীর আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি/এস
বাংলাদেশে তেল রিফাইনারি কারখানা করতে চায় সৌদি আরব
ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেছেন, পূর্ব-দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে তেল রপ্তানির হাব গড়তে বাংলাদেশে তেল রিফাইনারি কারখানা করতে চায় সৌদি আরব।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, বাংলাদেশ-সৌদি আরব সম্পর্ক শুধু জনশক্তি রপ্তানিতে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। বাংলাদেশে তেল রিফাইনারি কারখানা করে পূর্ব-দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে তেল রপ্তানির হাব গড়া যেতে পারে।
অতীতের কথা উল্লেখ করে সৌদি রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করে বলেন, অনেক বড় প্রকল্প সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে সুনির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ে গেলে আটকে যেত। ব্যক্তি স্বার্থে এসব প্রকল্প আটকে ফেলা হতো বলে তার ধারণা তার।
তিনি আরও বলেন, একুয়াপাওয়ার যখন বাংলাদেশে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল প্রতিষ্ঠানটিকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এ সময় সেমিনারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, এতদিন বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশের কথা যতটা বলা হতো, ততটা ছিল না। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঠিক পরিবেশ দিতে বদ্ধপরিকর। সব দেশের জন্যই জনশক্তি প্রশিক্ষণ দিতে হবে আমাদের।
আরটিভি/এমএ/এস
মেট্রোরেলের ভাড়া নিয়ে সুখবর
যাতায়াত ব্যয় সাশ্রয় করার লক্ষ্যে মেট্রোরেল সেবাকে ভ্যাটমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এবনিআর)।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সী স্বাক্ষরিত এক বিশেষ আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, যেহেতু, মেট্রোরেল বাংলাদেশের সর্বাধুনিক ও জনপ্রিয় গণপরিবহন; যানজট নিরসনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি কর্মঘণ্টা সাশ্রয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে; তাই মেট্রোরেলকে অধিক জনপ্রিয় করবার লক্ষ্যে এর যাতায়াত ব্যয় সাশ্রয়ী করা প্রয়োজন।
ফলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নং আইন) এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (৩) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, দ্রুতগামী, নিরাপদ, সময় সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও দূরনিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর পরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেল সেবার ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি প্রদান করল।
চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলেও জানানো হয়।
আরটিভি/এফএ/এআর
বাংলাদেশে ভূমিকম্প নিয়ে দুঃসংবাদ
সাত দিনের মধ্যে দুইবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দেশ। আর গত ৯০ দিনে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও তীব্র মাত্রার ৫০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। গত ১৫ বছরে ১৫০টির বেশি ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।
বিশ্বে ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় আছে ঢাকা। বাংলাদেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবুও কোনো সরকারই এ দুর্যোগে ক্ষতি কমাতে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট-বড় মাত্রার এসব ভূমিকম্প সামনের বড় মাত্রার ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছে। আর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের চেয়ে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
এদিকে গত ৭ জানুয়ারি রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে তিব্বতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই ভূমিকম্পে তিব্বতের পাশাপাশি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতও কেঁপে ওঠে। প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থানের কারণে প্রায়ই এই অঞ্চল কম্পিত হচ্ছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ভূকম্পনের সক্রিয় এলাকায় অবস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছোটোখাটো কম্পন দেশটিতে আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা নির্দেশ করে। এ ছাড়াও দুর্যোগ সূচকে বিশ্বের ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা। সবশেষ বাংলাদেশে বড় ধরণের ভূমিকম্প হয়েছে ১৯১৮ সাল। এর কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশের মধ্যে এবং যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আতঙ্কেই মারা যান ছয়জন। গত ৭৫ বছরে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোনো ভূমিকম্প হয়নি, ফলে শিগগিরই একটি বড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত ও মিয়ানমার টেকটোনিক প্লেট গেছে। গত শত শত বছর এসব প্লেটে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। ফলে এই প্লেটে সঞ্চিত হয়েছে দীর্ঘদিনের শক্তি। হঠাৎই এটি ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। আর এ মাত্রার ভূমিকম্প হলে লাখ লাখ প্রাণহানির সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে ঢাকা। বুয়েট ও সরকারের একটি যৌথ সমীক্ষায় দেখা যায়, সাড়ে সাত মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকার ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। যেখানে তৈরি হবে সাত কোটি টন কংক্রিটের স্তূপ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেন্ট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘৭ মাত্রার ভূমিকম্প যদি সীমান্ত এলাকায় হয় তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে কারণ ঢাকার ভবনগুলো বেশিরভাগ ঝুঁকিপূর্ণ।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘আমাদের দেশের আশপাশ দিয়ে তিনটি টেকটোনিক প্লেট গেছে। যেগুলোর সংযোগস্থল সীমান্তের আশপাশে। আমাদের অবস্থান ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটে, আমাদের উত্তরে হিমালয় পড়েছে ইউরেশিয়ান প্লেটে আর আমাদের পূর্বে হচ্ছে মিয়ানমার মাইক্রো প্লেট। সবগুরো প্লেটই আমাদের কানেক্টেড এবং সক্রিয়। এগুলোর মুভমেন্ট আছে। প্লেটগুলো প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার মুভমেন্ট করে। অর্থাৎ, আমার প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মুভমেন্ট করছি। একইভাবে পুরো পৃথিবীও মুভ করছে।’
তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে শুধু ইক্যুইপমেন্টস আছে। শুধু ইক্যুইপমেন্টস দিয়ে হবে না। কারণ, ভবন মেরামত না করলে ভবন চাপা পড়ে মানুষ মারা যাবেই। এছাড়া গ্যাস-বিদ্যুতের অপরিকল্পিত লাইন ঢাকা শহরে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ।’
আরটিভি/এসএপি-টি