বড় পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
হোসাফ মিটারের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মারুফ হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান। সরকার পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ শুনানি করেন।
এর আগে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। ওই বছরের ৫ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মো. সাইফুর রহমান, বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী আগেই মারা যাওয়ায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে গত বছরের ২৭ নভেম্বর এ মামলা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলা প্রসঙ্গে আইনজীবীরা জানান, সব নিয়ম মেনেই দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি খনি থেকে কয়লা আহরণে টেন্ডার কাজ সম্পন্ন করা হয়। শুধু রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ওয়ান ইলেভেন সরকার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আদালতকে প্রভাবিত করে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করিয়ে নেয়। আর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতকে ব্যবহার করতে থাকে। যার কারণে দীর্ঘদিনেও মামলার অভিযোগ গঠন করতে পারেননি আদালত।
আরটিভি/কেএইচ/এস
মন্তব্য করুন