৩১ ঘণ্টা পর সারাদেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স (ভাতা) যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধার দাবিতে ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণার পর বুধবার ভোর থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৭টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন ছেড়েছে বলে জানা গেছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ইঞ্জিনজনিত কারণে দু’একটি ছাড়া সব ট্রেনই ছেড়ে যাচ্ছে। কোথাও কোনো গোলযোগের খবর নেই। তবে শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে সকাল থেকে এ পর্যন্ত সাতটি ট্রেন ছেড়ে গেছে।
ভোর সাড়ে ৬টায় প্রথমে রাজশাহী অভিমুখী আন্তঃনগর ধূমকেতু এক্সপ্রেস কমলাপুর ছেড়ে যায়। তবে, শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে অন্যান্য ট্রেন। সকাল সাতটায় সময় দেয়া হলেও প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে কমলাপুর থেকে যাত্রা শুরু করে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ছেড়ে যায় নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা পর। কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটা ঘটছে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার শাহদাত হোসেন।
তিনি বলেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। পাশাপাশি সময়ের সঙ্গে যাত্রী উপস্থিতিও বাড়ছে। তবে, কারিগরি কারণে এক ঘণ্টা করে বিলম্বে ছাড়ছে ট্রেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দু-একদিন সময় লাগতে পারে।
এদিকে মধ্যরাতে কর্মসূচি প্রত্যাহারের খবর অনেক যাত্রী জানেন না। সে কারণে সকালের দিকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে অনেক আসন ফাঁকা থাকতে দেখা গেছে। একইসঙ্গে শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে। তবে, কর্মবিরতি প্রত্যাহারে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা।
বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধার দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেন রানিং স্টাফরা। কর্মবিরতির কারণে গত সোমবার মধ্যরাতের পর থেকেই রাজধানীর কমলাপুরসহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবারও বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার মানুষ।
পরে বুধবারের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের বাসায় বৈঠক শেষে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন।
আরটিভি/এসএইচএম/এস
মন্তব্য করুন