বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো যেন আর চুরি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির মতো ঘটনা যেন আর না হয়। তাই ডিজিটাল সুবিধার পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তায় জোর দিতে হবে। দুর্নীতি ও অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাকরাইলের অডিট ভবনে বুধবার সকালে সুপ্রিম অডিট ইনস্টিটিউশনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের অর্থ সাশ্রয় এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টকে আরও দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ার ফলে অডিট কার্যক্রমও ডিজিটাল হয়ে গেছে। তবে সাইবার ক্রাইম বলতে একটা শব্দ আছে। কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেন কেউ জানতে না পারে সে জন্যও সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা কাজ করছি। অনেক ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের উন্নত দেশ থেকে অগ্রগামী। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৮ লাখ। ই-টেন্ডারের কারণে এখন আর টেন্ডারের বাক্স ছিনতাই হয় না। দুদক অত্যন্ত স্বাধীনভাবে কাজ করছে। অনেক মন্ত্রী-এমপিদের বিষয়েও দুদক কাজ করছে। সে বিষয়ে আমরা কোনো বাধা দেই না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই এ দেশ ও দেশের মানুষ আরও উন্নত হোক। এই দুর্নীতি বা অনিয়ম, এগুলো আমরা কখনো বরদাশত করবো না। আরও বেশি নজরদারি করবেন, সেটাই আমি চাইছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি আর তিনটা বছর সময় পেতেন তাহলে বাংলাদেশ সে সময়েই দৃষ্টান্ত হতো। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি যারা করে তারা দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। অবৈধভাবে যারা ক্ষমতায় আসে তারা নিজ পদকে সুরক্ষায় ব্যস্ত থাকে। এসব মানসিক রোগ থেকে আমি মুক্ত। যখন যেমন তেমন চলতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯১ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৫৬.৭ শতাংশ। ‘৯৬ সালে আমরা এসে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেই। ফলে দরিদ্রতা হ্রাস পেয়েছে।
রেমিটেন্স বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, গেলো বছর ১০ লাখ মানুষ বিদেশে পাঠানো গেছে। তারা আমাদের টাকা পাঠায়। দেশের ভেতর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। রেমিটেন্স ১৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। মানুষের আয় বেড়েছে, বিদ্যুতের ব্যবহারও বেড়েছে। গ্রামেও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। একটা ফ্যান বা লাইট জ্বলবে ভেবে যে চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছিল সেটি আর সেখানে সীমাবদ্ধ নেই। আমাদের খানা ভিত্তিক জরিপ হচ্ছে। এটা হলেই প্রকৃত হিসাব জানতে পারবো। গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হবে সেটাই লক্ষ্য।
আরও পড়ুন:
এমসি/পি/এসএস
মন্তব্য করুন