পুলিশের উপর হামলাকারীরা বিএনপির কেউ নয়: ফখরুল
রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের প্রিজনভ্যানে হামলা উদ্দেশ্যমূলক। হামলাকারীরা বিএনপির কেউ নয়। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার সকাল ১১ টায় নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলন তিনি এ দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে বিএনপির ৭০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ, অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে। এ ধরনের ধরপাকড় অশনিসংকেত।
মির্জা ফখরুল বলেন, সবচেয়ে ভীতিকর বিষয় গেলো রাতে গয়েশ্বর রায়কে গ্রেপ্তারের ঘটনা অনেক রাত পর্যন্ত পুলিশ স্বীকার করেনি। তিনি একজন বয়স্ক মানুষ, অসুস্থ মানুষ। তার ওষুধগুলো পর্যন্ত সেখানে নিতে দেয়নি। সকাল পর্যন্ত তাকে ওষুধ নিতে দেয়া হয়নি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই গ্রেপ্তারটা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। আমাদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। এখন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি। অথচ গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে। দেশের যে স্থিতিশীল পরিবেশ নিজেরাই তা নষ্ট করছে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলার রায়ের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আবার একটি অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করাই এদের মূল উদ্দেশ্য। এই অবস্থার সৃষ্টি করে তারা আবারও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চাইছে। তারই নীল নকশা হিসেবে তারা আজকে এই পরিস্থিতিগুলো সৃষ্টি করছে। তাই আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই। অবিলম্বে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমাদের অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, খোকনসহ সকলকে মুক্তি দিতে হবে। সকল রাজনৈতিক নেতা এখন পর্যন্ত যারা আছেন তাদের সকলকেই মুক্তি দিতে হবে। এই মুক্তি না দিলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সুস্থ স্বাভাবিক হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারমনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, গয়েশ্বর রায়ের মেয়ে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য অর্পনা রায় ও তার ছেলের বউ নিপুর রায় প্রমুখ।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের প্রিজনভ্যানে হামলা ও ছাত্রদলের দুই কর্মীকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় শাহবাগ থানায় পৃথক দু’টি মামলা করেছে পুলিশ। শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রহিদুল ইসলাম ও এসআই চম্পক বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ৫৭ ও ৫৮।
দায়ের করা উভয় মামলার এজাহারে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত আরও সাত থেকে আটশ বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার পরেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
এমসি/এসএস
মন্তব্য করুন