১০ দিনে ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় কীভাবে লেখা সম্ভব : কর্নেল অলি
মাত্র ১০ দিনে ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় কীভাবে লেখা সম্ভব হলো প্রশ্ন তুলেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
শনিবার কারওয়ান বাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
কর্নেল অলি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় লিখা হয়েছে মাত্র ১০ দিনে। এটি কিভাবে সম্ভব হয়েছে?
তিনি বলেন, সরকার ও এরশাদের ষড়যন্ত্রেই নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে। কারণ নাজিম উদ্দিন রোডের এই কারাগারে অতীতে এরশাদও ছিলেন।
অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে কর্নেল অলি বলেন, উস্কানি দিয়ে বর্তমানে আপনারা যে ধরনের কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন, এতে করে দেশে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন কখনও সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, একটি কথা মনে রাখবেন যেভাবে কাজ করবেন তার ফল সেভাবেই ভোগ করতে হবে। কাজেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। আমাদেরকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের দিকে ঠেলে দেবেন না।\
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: কারাগারে এখনো ডিভিশন পাননি খালেদা জিয়া: মওদুদ
--------------------------------------------------------
এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক সেনাপ্রধানের সহধর্মিনীকে অন্যায়ভাবে জেলে বন্দি রাখার পরিণতি শুভ হবে না। মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দেওয়া সমগ্র জাতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য লজ্জার।
সহায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৬০টি আসনও পাবে না উল্লেখ করে কর্নেল অলি বলেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে খালেদা জিয়ার রায় ইস্যুতে সমগ্র জাতিকে প্রতিবাদ করা উচিৎ। যে মামলায় রায় দিয়ে সাজা দেয়া হয়েছে তার কোনো প্রয়োজন ছিল না। যে মামলা হয়েছে সেখানে অর্থ তছরুফ হয়নি। বড় বড় দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তি হচ্ছে না, আগামীতেও হবে কি না জানি না।
খালেদা জিয়াকে ডিভিশন না দেওয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নিজে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সে হিসেবে তিনি ডিভিশন না পেলে, কে ডিভিশন পাবেন এমন প্রশ্ন রাখেন কর্নেল অলি আহমদ।
আরও পড়ুন:
এমকে
মন্তব্য করুন