সর্বত্র মশা, সাধারণ মানুষের মতোই মন্ত্রীদের দশা
সম্প্রতি রাজধানীতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, মন্ত্রী ও সচিবরাও অস্থির মশার যন্ত্রণায়।
রাজধানীর হাজারীবাগ, লালবাগ, চকবাজার, বংশাল, কোতোয়ালি, মুগদা, মানিকনগর ও গেন্ডারিয়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, একসময় বর্ষাকালে রাতে মশার উৎপাত ছিল। এখন সারা বছর দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই মশার অত্যাচার।
তারা আরও জানায়, মশা নিধনের নামে স্প্রে মেশিনে কেরোসিন বেশি দিয়ে ধোঁয়া ছিটান হচ্ছে। মশা নিয়ন্ত্রণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
এদিকে মন্ত্রী পাড়া খ্যাত মিন্টুরোড, বেইলি রোড, ধানমন্ডি, মগবাজার, ইস্কাটন গার্ডেন, রমনা, বনানীর বাসিন্দারাও মশার যন্ত্রণায় অস্থির। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের মতোই অবস্থা মন্ত্রী ও সচিবদের।
এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, কালসী, ভাষানটেক, কল্যাণপুর, দারুসসালাম, নাখালপাড়া, মহাখালী, বাসাবো, খিলগাঁও, মুগদা, মানিকনগরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের কোনো উদ্যোগ নেই।
তারা জানান, নিয়মিত পরিষ্কার না করায় রাজধানীর নিচু জমি, ঝিল ও লেকগুলো ভরে উঠেছে আবর্জনায়। এসব জায়গার মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনের ঝিল কচুরিপানায় ভর্তি। এসব কচুরিপানা ভর্তি ডোবা-নালা মশার প্রজনন ক্ষেত্র। ঢাকার খালগুলোর অনেক জায়গায় পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব স্থানেও মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন কাজের জন্য খোলা ও ভাঙাচোরা নর্দমাগুলোর জন্যও বাড়ছে মশার বংশবৃদ্ধি।
পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হাসান জানান, মশা নিধনের জন্য আমাদের ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ শুরু হয়েছে। আমরা মশা নিধনের জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন জানান, মশার ওষুধ দেয়ার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণে কেরোসিন মেশাতে হয়। তবে বেশি পরিমাণ কেরোসিন মেশালে কার্যক্ষমতা কমে যায়। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
কে/এমকে
মন্তব্য করুন