• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

তিনি সৌভাগ্যবান তাই বেঁচে গেছেন: ইয়াসমিন হক

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৫ মার্চ ২০১৮, ২২:৫৭

ড.মুহম্মদ জাফর ইকবাল দুইশ বই লিখেছেন। তার কোন বইয়ে ইসলামবিরোধী কথা নেই। যদি ছেলেটি তার একটি বইও পড়তো তাহলে সে এমন কাজ করতো না। বললেন, জাফর ইকবালের স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।

আজ সোমবার বিকেলে শাহবাগে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ইয়াসমিন হক বলেন, ওই ছেলেকে ভুল বুঝানো হয়েছে। তাকে বুঝানো হয়েছে জাফর ইকবাল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখেছে। সে (ফয়জুল) যদি পড়া লেখা করতো তাহলে বুঝত। তাদেরকে বুঝতে হবে আমাদের দেশ কীভাবে স্বাধীন হয়েছে। আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক ছিল না।

তিনি আরও বলেন, জাফর ইকবাল অসম্ভব সৌভাগ্যবান তিনি বেঁচে গেছেন। সবার দোয়া আছে বলেই তিনি বেঁচে গেছেন।

ইয়াসমিন বলেন, এখনও ওই পর্যায়ের শিক্ষার্থী আছে, যারা হতাশাগ্রস্ত। যাদেরকে অনেকেই ভুল বুঝাতে পারে। তাদের পড়তে হবে বুঝতে হবে। মনে রাখতে হবে আমরা সবাই বাঙালি ছিলাম, কোনও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক বিষয় ছিল না। আমাদের সেক্যুলার দেশ। এত বছর বাচ্চাদের তাহলে আমরা কী শিখিয়ে আসছি।

জাফর ইকবালের বর্তমান অবস্থা জানিয়ে ইয়াসমিন হক বলেন, চিকিৎসকরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। যেদিন এখানে নিয়ে আসা হয়, প্রথমেই আইসিইউতে নিয়ে সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। পরে গভীর রাতে আমরা সবাই বাসায় চলে গেলাম। আমি বারবার আত্মীয়দের নিষেধ করেছি সেখানে যেতে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ২৪ ঘণ্টা কেউ ঢুকবে না। আমি চিকিৎসকের মেয়ে। তাই বিষয়গুলো জানি। জাফর ইকবাল সুস্থ এবং তার জ্ঞান ছিল। তাই আমিও যাইনি। হাসপাতালে যারা দেখতে গেছেন, তারা যদি দেখেন আমিই ঢুকছি না, তাহলে কেউই ঢুকতে চাইবেন না।

ইয়াসমিন হক বলেন, গতকাল সকালে ৫ মিনিটের জন্য ঢুকেছিলাম তখন জাফর ইকবাল জানতে চেয়েছিলেন, তিনি এখানে কেন? এই সিদ্ধান্ত কে নিয়েছে। আমি তাকে জানাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ নিয়েছেন। উনি এত ব্যস্ততার মধ্যেও খবর নিয়েছেন।

তিনি বলেন, আগামী ছয় দিন সম্ভবত সিএমএইচেই জাফর ইকবালকে রাখা হবে। চিকিৎসকদের বলেছি, যতদিন রাখার দরকার রাখেন ওর রেস্ট হবে। যাতে তাড়াতাড়ি ভালো হয়।

আরও পড়ুন:

এমকে

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রকমারিতে মিলছে না জাফর ইকবালের বই
‘ঢাবিতে আর যেতে চাই না, ছাত্র-ছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে রাজাকার’