চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেশি: প্রতিমন্ত্রী
দেশে বর্তমানে দৈনিক বিদ্যুতের গড় চাহিদা প্রায় ১১০০ হতে ১১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। আর মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ১৩৩ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ)। চাহিদার চাইতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেশি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদকে এ তথ্য জানান।
এর আগে বিকেল ৪টার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকায় কোনো বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই। তবে গ্রীষ্মকালে সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতা, গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
সংসদ সদস্য এনামুল হকের অপর এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে সরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৯৮৬ মেগাওয়াট। আর বেসরকারি খাতে ৬ হাজার ৮৯৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। প্রতিদিন চাহিদার ওপর ভিত্তি করে মেরিট অর্ডার ডেসপাচ অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এছাড়া ভারত থেকে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারের ভিশন ২০২১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে আরও নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মোট ১৩ হাজার ৬৫৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ৭ হাজার ৪৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পর্যায়ক্রমে ২০১৮ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এর বাইরে ২০ হাজার ১৫৬ মেগাওয়াট ক্ষমতা ১৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্প রয়েছে।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারতের ২টি জায়গা থেকে এক হাজার ৮৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, যা ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে শুরু হবে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সংসদকে জানান। গত জুন পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাছে এক হাজার ১৯১ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। বিল খেলাপি গ্রাহকদের তালিকা প্রণয়ন করে তা আদায়ের পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রয়োজনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এছাড়া বিল আদায়ে গঠিত টাস্কফোর্স ঝটিকা অভিযান চালিয়ে থাকে। পৌরসভা, ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, জুট মিলের মতো বড় বড় গ্রাহকদের বকেয়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আদায়ের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন :
- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
- ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে: ইসি
এমকে
মন্তব্য করুন