দেওবন্দের মতামতের পর বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ
টঙ্গির তুরাগ তীরে জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা হচ্ছে না। দেওবন্দ মাদরাসার আলেমদের মতামত জানার পর ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হবে। চলতি মাসেই আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল দেওবন্দ যাবেন। তারা ফিরে আসার পরই ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক)এর মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস।
গেল রোববার সচিবালয়ে তাবলিগের দুই পক্ষের মুরব্বিদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানা খান কামাল। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, এক পক্ষ বলছেন, সাদ শরিয়তবিরোধী কাজ করছেন। তিনি আসলেও কোনো শরিয়াবিরোধী কাজ করছেন কিনা সেটা যাচাইয়ের জন্য তাবলিগের দুই পক্ষের সমন্বয়ে একটি দল দেওবন্দে যাবেন। তারা ফিরে আসার পর সিদ্ধান্ত হবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, কওমি মাদরাসার আলেম ওলামারা দেওবন্দের আলেমদের অনুসরণ করেন। দেওবন্দের আলেমগণ যে সিদ্ধান্ত দেবেন দুই পক্ষই তা মেনে নিবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে মাওলানা সাদ সাহেব যেসব বিতর্ক তৈরি করেছেন তার সমাধান তিনি নিজেও করতে পারতেন। তার বিতর্কিত বক্তব্যগুলো প্রত্যাহার করলেই একটি সমাধানে যাওয়া যেতো।
২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমার পর তাবলিগ জামাতের দুইপক্ষ আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করে। নিজামুদ্দীন মার্কাজপন্থী মাওলানা সাদের অনুসারীরা ১১, ১২, ও ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন। এর বিরোধিতা করে জানুয়ারির ১৮, ১৯ ও ২০ ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে হেফাজতপন্থী মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা।
এ নিয়ে সারা বছরই উত্তেজনা থাকে। গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে এ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
আরো পড়ুন:
এমকে
মন্তব্য করুন