ইপিজেড শ্রমআইন ২০১৯ এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রমআইন, ২০১৯ এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। যা গত ১৫ জানুয়ারি থেকে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর হয়েছে।
এর আগে, গত ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মন্ত্রিসভা রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় (ইপিজেড) ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিয়ে খসড়ার মূলনীতি অনুমোদন করে।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নতুন সংসদে পাস করানোর জন্য কোন রকম পরিবর্তন ছাড়াই মূল খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
এই আইনের আওতায় ইপিজেড শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখার ও ফ্যাক্টরি লক-আউটের অধিকার দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আইনটিকে অধিকতর শ্রমিকবান্ধব করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কিছু সুপারিশ এবং কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পর্যবেক্ষণ এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আজকের বৈঠকে রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)-এর বিদেশি শিপমেন্ট বাড়াতে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (সংরক্ষণ) আইন-২০১৯-এর খসড়াও অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত এই আইনে দেশে আমদানি-রফতানির অন্তত ৫০ শতাংশ বিএসসি’র জাহাজে বহন করা বাধ্যতামূলক বিধানের প্রস্তাব করা হয়।
নতুন আইনটি ‘বাংলাদেশ ফ্ল্যাগ ভেসেলস (প্রোটেকশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’- এর স্থলে প্রতিস্থাপিত হবে। এর আওতায় সমুদ্রগামী জাহাজগুলো আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে ৪০ পণ্য পরিবহন করত।
এছাড়াও, ইতোপূর্বে সুপ্রিম কোর্ট সামরিক শাসনামলের সকল অধ্যাদেশকে অবৈধ ঘোষণা করায় নতুন এই আইনটি প্রয়োজন ছিল।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই বিধানটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের কার্যক্রমকে জোরদার করবে।
আজকের বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সারাংশ উপস্থাপন করে।
ওই সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত ২৫টি বৈঠকে মন্ত্রিসভার ৩১৩টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সেগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৭০টি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একই সময়ে জাতীয় সংসদ ১৯৩টি আইন পাশ করেছে এবং সরকার ১০টি অধ্যাদেশ জারি করেছে। অন্যদিকে, ২০টি আইনের খসড়াকে আইনে পরিণত করার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন
এমকে
মন্তব্য করুন