বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা
সবচেয়ে বেশি কল ড্রপ হয় গ্রামীণফোনে: বিটিআরসি
সবচেয়ে বেশি কল ড্রপের ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের। সেই সাথে তাদের ডায়াল করা নম্বরে সংযোগ পেয়েও অনেক বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সোমবার বিটিআরসি’র প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গত ৬ থেকে ৮ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার ১৫টি এলাকায় বিটিআরসি কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) পরীক্ষা চালায়। এতে যান্ত্রিকভাবে ৯০ সেকেন্ডের ৩ হাজার ৩০০টি কল করা হয়।
পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী, দেশের সর্ববৃহৎ অপারেটর গ্রামীণফোনের কল ড্রপ হার ৩.৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে রবির কল ড্রপ হার ১.৩৫ শতাংশ, বাংলালিংকের ০.৫৮ শতাংশ ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিটকের ১.৫৮ শতাংশ।
বিটিআরসি ও ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) কর্তৃক কল ড্রপের সর্বোচ্চ নির্ধারিত সীমা ৩ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গ্রামীণফোনে সংযোগের জন্য গড় ১০.১৪ সেকেন্ড সময় লেগেছে। পাশাপাশি রবিতে ৬.১৫ সেকেন্ড, বাংলালিংকে ৭.৬৯ সেকেন্ড ও টেলিটকে ৭.১১ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হয়েছে।
ডায়াল করা নম্বরে সংযোগ পাওয়ার জন্য বিটিআরসির আদর্শ অপেক্ষার সময় ৭ সেকেন্ড।
ফোরজি গতি পরীক্ষায় দেখা যায়, তিনটি শীর্ষ অপারেটর বিটিআরসি নির্ধারিত সর্বনিম্ন মান ৭ এমবিপিএসের (মেগাবিট পার সেকেন্ড) নিচে গতি সরবরাহ করছে। গ্রামীণফোনের গড় ডাউনলিংক গতি ছিল প্রতি সেকেন্ডে ৫.৮৮ মেগাবিটস। আর রবিতে ৫.৯১ ও বাংলালিংকে ৫.১৮ এমবিপিএস গতি পাওয়া গেছে। টেলিটকের পরীক্ষার সময় ফোরজি কভারেজ ছিল না।
বিটিআরসি জানায়, তারা অন্যান্য শহরেও একই ধরনের কিউওএস পরীক্ষা চালিয়েছে এবং সেগুলোর প্রতিবেদন ধীরে ধীরে প্রকাশ করা হবে।
এদিকে গ্রামীণফোন সেবার ক্ষেত্রে তাদের গুণগত মান বজায় রাখতে না পারায় বিজ্ঞাপন প্রচারে প্রতিষ্ঠানটির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সোমবার গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে বলা হয়, নতুন সেবার (প্যাকেজ, অফার, কলরেট) তথ্য জানিয়ে কোনো মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন।
এমকে
মন্তব্য করুন