অবশেষে ই-পাসপোর্ট আসছে জুনে
অভিবাসন কার্যক্রম সহজ করতে ডিজিটাল পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট বিতরণ শুরু করার পরিকল্পনা করছে সরকার। চলতি বছরের জুন থেকে এই পাসপোর্ট বাংলাদেশের নাগরিকদের হাতে পৌঁছাতে পারে।
ই-পাসপোর্ট চালু হলে বিশ্বের যেকোনও স্থান হতে ওই পাসপোর্টধারীর নম্বর সার্চের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সব তথ্য পাওয়া যাবে।
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) পদ্ধতি চালু করে।
কিন্তু এমআরপি ব্যবস্থায় দশ আঙুলের ছাপ ডাটাবেজে সংরক্ষণ না থাকায় একাধিক পাসপোর্ট করার প্রবণতা ধরা পড়ে। এর ফলে ই-পাসপোর্টের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে অনুভব করে সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রবর্তনের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জার্মানি সফরের সময় ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সে দেশের প্রতিষ্ঠান ভ্যারিডোস জিএমবিএইচ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ই-পাসপোর্ট চালুর বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে সেই পাসপোর্টের সুবিধা ভোগ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ।
অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ই-পাসপোর্টে ২৮ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে। বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ডাটাবেজে পাওয়া তথ্যগুলো ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে।
সূত্র মতে, ই-পাসপোর্ট বিতরণ শুরু করার প্রস্তুতি প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।
প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বলেন, প্রকল্পের জন্য তহবিলের ব্যবস্থা করতে গিয়ে কাজ পিছিয়ে গেছে। গত বছরের ২১ জুন প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায় এবং একই মাসে ২০১৮-১৯ সালের জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করা হয়। তাই প্রকল্পের জন্য তহবিলের ব্যবস্থা করতে সময় লেগেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ই-পাসপোর্টের বৈধতা ১০ বছর রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে কিন্তু ফি কত নেওয়া হবে তা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রমতে, সরকারের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল জার্মানিতে ছাপানো ২০ লাখ ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা। কিন্তু পরে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট দেশে ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান বলেন, ‘আমরা উত্তরায় একটি বিশ্ব মানের ছাপাখানা বসাচ্ছি। কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আমরা আশা করছি এখানে ছাপানো ই-পাসপোর্ট বিতরণ শুরু করতে পারব।’
প্রকল্প পরিচালক বলেন, এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৪০ লাখ এমআরপি বিতরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ঢাকা থেকে ই-পাসপোর্ট বিতরণ শুরু করবো।’ অন্যান্য আঞ্চলিক কার্যালয় ই-পাসপোর্ট বিতরণ শুরু না করা পর্যন্ত সেখান থেকে এমআরপি দেয়া চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন
- বিমানবন্দরে ভুলক্রমে অস্ত্র নিয়ে ঢুকলেও ছাড় নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- এবার গাজীপুরে বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত
এস/পি
মন্তব্য করুন