জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যেই বাকশাল করেছিলেন বঙ্গবন্ধু: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যেই বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বেঁচে থাকলে অনেক আগেই তা বাস্তবায়ন হতো। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির জনকের দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করলে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারতেন না।
জাতির মুক্তি-সংগ্রামে গৌরবোজ্জল অবদানের পাশাপাশি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ জনকল্যাণমূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সাল থেকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে আসছে সরকার। যা দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা। অন্যান্যবারের ধারাবাহিকতায় এ বছরও ১৩ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হলো এ সম্মাননা।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য এ বছর মরণোত্তর পদক পান শহিদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী। একই বিভাগে মরণোত্তর পুরস্কার পেয়েছেন শহিদ এ টি এম জাফর আলম,আবদুল খালেক,অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ এবং ব্যারিস্টার শওকত আলী খান।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মের হক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ডা.কাজী মিসবাহুন নাহারও ভূষিত হন এ পদকে।
মনোনীতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বছর চিকিৎসাবিদ্যায় স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন ব্রি জে. ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম আর পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন, পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ পুরস্কৃত হন সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে।
সাহিত্য বিভাগে পদক দেয়া হয় কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে। এছাড়া,সংস্কৃতিতে মুর্তজা বশীর, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অধ্যাপক ডা. হাসিনা খান এবং প্রাতিষ্ঠানিক অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটকে দেয়া হয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক।
পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙ্গালী জাতিকে সাবলম্বী করার জন্য বাকশাল গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি জানান, স্বাধীনতার সুফল সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। আশা করি, চলতি অর্থবছরে ৮ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সততা ছিলো বলেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এখন বিশ্ববাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে বাংলাদেশ। দেশের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে স্বীকৃতিদানের তাগিদ দেন তিনি।
দেশের এগিয়ে যাওয়া আর কেউ থমকে দিতে পারবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
এস
মন্তব্য করুন