১০০ লিটার গরুর দুধ দিয়ে তৈরি হতো ৯০০ লিটার পাস্তুরিত দুধ! (ভিডিও)
গরুর দুধের কোনও অস্তিত্বই নেই অথচ প্যাকেটজাত করে পাস্তুরিত দুধ হিসেবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। প্রতিদিন উৎপাদন ৬ হাজার লিটার। র্যাবের অভিযানে এমন প্রতারণা হাতেনাতে ধরা পড়ে। এসব অপরাধে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বারো আউলিয়া ডেইরি মিল্ক কারখানা সিলগালা করে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। চেয়ারম্যান-এমডিসহ ১০ জনকে সাজা দেয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে।
শিশুদের অন্যতম প্রধান খাদ্য দুধ। দিনে দিনে বাড়ছে এর চাহিদা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজধানীর অদূরে নারায়ণগঞ্জে প্রস্তুত করা হতো ভেজাল দুধ। ১শ’ লিটার দুধের সঙ্গে স্ক্রীম মিল্ক পাউডার, রাসায়নিক পদার্থ, চিনি আর লবণ মিশিয়ে তৈরি করা হতো ৯শ’ লিটার দুধ। আরও ভয়াবহ তথ্য হলো দুধের ছিটেফোঁটা না দিয়েই শুধুমাত্র পাউডার আর রাসায়নিক মিশিয়ে ১৪শ’ লিটার পর্যন্ত দুধ উৎপাদনের রেকর্ডও আছে এই প্রতিষ্ঠানটির।
তরল দুধ পাস্তুরিত করার কথা থাকলেও এই জালিয়াত চক্র গত নয় বছর ধরে প্রস্তুত করে যাচ্ছে ভেজাল দুধ। আমের কোন অস্তিত্ব না থাকলেও সোডিয়াম আর অন্য রাসায়নিক দিয়ে বানানো হচ্ছে আম দুধ। দুই দিন পরের তারিখ দিয়ে দই বানানো হয়েছে জেনথন গাম দিয়ে। বানানো হয়েছে লাবাংও।
এমন অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা থেকে আটক করে আনা হয় কোম্পানির পরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ তিন জনকে।
মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এমন দুধ উৎপাদনের দায়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। জড়িতদের দেয়া হয় দণ্ড, করা হয় জরিমানা।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে হয় এই অভিযান।
জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
জিএ/এসএস
মন্তব্য করুন