২৫ সেপ্টেম্বরকে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ ঘোষণা নিউ ইয়র্কের
জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলায় ভাষণ দেয়ার দিনটিকে নিউ ইয়র্ক স্টেট কর্তৃপক্ষ ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ ঘোষণা করেছে। সিনেটে পাস হওয়া এই রেজ্যুলেশনটি নিউ ইয়র্ক স্টেট গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো ও মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিত সাহার কাছে ১২ মার্চ মঙ্গলবার পাঠিয়েছেন সিনেটের নির্দেশক্রমে স্টেটের সেক্রেটারি আলেজান্দ্রা এন পোলিনো।
১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন শিশু-কিশোর মেলায় ওই ঘোষণাপত্র প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের কর্ণধার বিশ্বজিত সাহা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব সর্বপ্রথম সিনেটে উত্থাপন করেছিলেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর টবি অ্যান স্ট্যাভিস্কি।
২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর এ সিনেটরের কাছে ১৭ মার্চকে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ ঘোষণার জন্য বিশ্বজিত সাহা আবেদন করেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে সিনেটে এ আবেদনের প্রেক্ষিতে রেজ্যুলেশন উত্থাপিত হলেও রিপাবলিকান সিনেটরদের বিরোধিতায় বাদ পড়ে যায়।
এরপর ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজিত সাহা সিনেটর হোজে প্যারাল্টার সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানান। সিনেটর আশ্বাস দেন এ বিষয় নিয়ে তিনি কাজ করবেন।
২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর হোজে প্যারাল্টা প্রক্লেমেশনে ২৫ সেপ্টেম্বরকে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ হিসাবে ঘোষণা করেন। তখন এটি মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এনআরবি গ্লোবাল কনভেনশনে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২০১৮ সালের সিনেট নির্বাচনে হোজে প্যারাল্টা পরাজিত হন এবং তার অকাল মৃত্যুতে বিশ্বজিত সাহা মুষড়ে পড়েন। কেননা এর আগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রেজ্যুলেশনটিও সিনেটর হোজে প্যারাল্টার প্রস্তাবনায় নিউ ইয়র্ক স্টেটে পাস হয় এবং স্টেট ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত হয়।
---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ঢাকায় কোনও গ্যাংয়ের অস্তিত্ব রাখা হবে না : ডিএমপি কমিশনার
---------------------------------------------------------------------
এরপর আরও কয়েকজন সিনেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর সিনেটর টবি অ্যান স্ট্যাভিস্কিকে পাঠানো হয় প্রস্তাব।
তিনি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আলবেনিতে অনুষ্ঠিত সিনেট অধিবেশনে এই বিলটি উত্থাপন করলে সর্বসম্মতিক্রমে ২৫ সেপ্টেম্বর ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ হিসেবে অনুমোদন ও স্টেট ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত হয়। এখন থেকে প্রতি বছর নিউ ইয়র্ক স্টেটে দিনটি পালিত হবে।
রেজ্যুলেশনে লেখা রয়েছে, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রথমবারের মতো বাংলায় ভাষণ দেন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান। তাই এ দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য।
বিশ্বজিত সাহা তার প্রস্তাবনায় ২৫ সেপ্টেম্বরকে ‘বাংলাদেশ ইমিগ্র্যান্ট ডে’ ঘোষণার জন্য যেসব কারণ উল্লেখ করেন তার অন্যতম ছিল- জাতিসংঘের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাংলায় ভাষণের কথা।
এ
মন্তব্য করুন