জিডিপি’র আকারে সিঙ্গাপুর হংকংকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ (ভিডিও)
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৩ তম বড় অর্থনীতির দেশ এখন বাংলাদেশ। দেশের ‘মোট দেশজ উৎপাদন’ বা জিডিপি’র আকার গত দেড় যুগে সিঙ্গাপুর ও হংকংকে ছাড়িয়েছে। ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’- এডিবি’র ‘কি ইনডিকেটরস্ ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ বিষয়ে প্রতিবেদনে, এমন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বিশ্ব অর্থনীতিতে এশিয়ার অবদানের বিষয়টিও উঠে এসেছে।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সমতাকে হিসেবে নিয়ে প্রতিটি দেশের জিডিপি কত হয়েছে সে হিসাব করেছে এডিবি। হিসাব অনুযায়ী ২০১৮ সালে বাংলাদেশে মোট ৭০ হাজার ৪১৬ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ পণ্য উৎপাদন ও সেবা সৃষ্টি হয়েছে।
এডিবি বলছে ২০০০ সালেও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল সিঙ্গাপুর। ওই বছর বাংলাদেশের ১৫ হাজার ১৮০ কোটি ডলারের বিপরীতে সিঙ্গাপুরে সৃষ্টি হয়েছিল ১৬ হাজার ৭১৮ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: বুড়িগঙ্গা পারাপারে চারটি ওয়াটার বাস চালু হচ্ছে
---------------------------------------------------------------
তবে, ২০১০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি’র আকার ৩৬ হাজার ৪০৫ কোটি ডলারে দাঁড়ালে পিছিয়ে পড়ে সিঙ্গাপুর। তারও আট বছর পর বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার সিঙ্গাপুরের চেয়ে বড় হয় ২২ শতাংশ।
একইভাবে, ২০০০ সালে হংকংয়ের জিডিপি বাংলাদেশের চেয়ে বড় হলেও পরের ১০ বছরে তা উল্টে যায়। আর ২০১৮ সালে এসে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বেড়ে হয়েছে হংকংয়ের প্রায় দ্বিগুণ। তবে জিডিপিতে হংকং-সিংগাপুরকে পেছনে ফেললেও উন্নয়নে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশ।
এডিবি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী অর্থনীতির সবচে’ বড় দেশ চীন। যার মোট জিডিপি’র আকার ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৩ কোটি ডলার। দ্বিতীয়তে আছে ভারত। জিডিপি’র আকার, ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৩৩ কোটি ডলার। এশিয়ার মোট ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম।
প্রতিবেদনে, দারিদ্র্য বিমোচন মাতৃ ও শিশুমৃত্যুরোধ এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের উন্নতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। উঠে এসেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে এশিয়ার ক্রমবর্ধমান অবদানের কথাও।
এমকে
মন্তব্য করুন