• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১
logo

হলুদের নামে কী খাচ্ছি? (ভিডিও)

জাহিদ রহমান, আরটিভি

  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:০৯

হলুদ। বাঙালি খাবারে, অবিচ্ছেদ্য এক মশলার নাম। শত শত বছর ধরে বাঙালির রসনা বিলাসে ভূমিকা রেখে চলা মসলাটি সম্পর্কে সম্প্রতি, পিলে চমকানো তথ্য পাওয়া গেছে।

আইসিডিডিআরবি তাদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখেছে, বাজারে থাকা প্রায় সব গুঁড়ো হলুদেই, ফার্নিচার বার্নিশে ব্যবহৃত ক্ষতিকর রং, ‘লেড ক্রোমেট’ আছে। তথ্যটি আবার জানিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকরা বলছেন, পদার্থটি নিয়মিত মানুষের শরীরে ঢুকলে, যকৃত নষ্ট হয়ে বিকালঙ্গ হয়ে যেতে পারে।

হলুদ বা হলদি হলো, হলুদ গাছের শেকড় থেকে পাওয়া মসলা। গাছের শেকড়কে কয়েক ঘণ্টা সিদ্ধ করে, গরম চুলায় শুকানো হয়। এরপর সেটিকে চূর্ণ করলে, গাঢ় হলুদ রংয়ের গুঁড়া পাওয়া যায়, যাকে হলুদের গুঁড়া বা হলুদ গুঁড়া বলে।

বাংলাদেশে কী মানের হলুদের গুঁড়া পাওয়া যাচ্ছে, তা জানতে, ‘আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র’ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি’ যৌথভাবে গবেষণা করে। যাতে পাওয়া যায়, ভয়ঙ্কর এক তথ্য। আকর্ষণীয় ও চকচকে দেখাতে, দেশের বাজারে প্যাকেট ও খোলা অবস্থায় বিক্রি হওয়া সব হলুদের গুঁড়ায় মেশানো হচ্ছে ফার্নিচার বার্নিশে ব্যবহৃত রং, ‘লেড ক্রোমেট’। যা ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ অনুযায়ী, দণ্ডনীয়।

হলুদকে আকর্ষণীয় ও চকচকে করতে মেশানো হচ্ছে, এই রাসায়নিক উপাদান। এতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। এই সীসা স্নায়ু ও মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতিসহ ঘটায় অকাল মৃত্যু। বুদ্ধি বিকাশে অপূরণীয় ক্ষতি করে। পরিপাকতন্ত্রে নানা জটিলতাসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে। বৃদ্ধি পায় হরমোনজনিত রোগ)।

এসব বন্ধ ও অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে, চলতি সপ্তাহে মাঠে নামছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসকরা বলছেন, রাসায়নিক উপাদান যেকারো স্বাস্থ্যের জন্যই হুমকি। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়, মা ও শিশুদের।

ইতোমধ্যে, এমন অপরাধ বন্ধে জাতীয় পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। যাতে তুলে ধরা হয়েছে, ক্ষতিকারক দিকগুলো।

এসএস

মন্তব্য করুন

rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়