‘ধর্ষককে দেখলে চিনতে পারবে মেয়েটি’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেছেন, মেয়েটিকে দেখেছি, তার সঙ্গে কথা হয়েছে। মেয়েটি জানিয়েছেন আসামিকে দেখলে চিনতে পারবেন। আসামি দেখতে মাঝারি গঠন এবং বাকি সবকিছুই কেমন দেখতে সবকিছু তা বলতে পারবেন। অভিজ্ঞ চিত্রশিল্পীর মাধ্যমে আসামির ছবি আঁকিয়ে তাকে শনাক্ত করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মেয়েটি অত্যন্ত বুদ্ধিমান তাই ধর্ষণের আলামত নষ্ট হতে দেয়নি। তার ডিএনএ টেস্ট করার জন্য আলামতগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করি, ছবি আঁকিয়ে এবং ভিকটিম ও আসামির ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তাকে শনাক্ত করতে অসুবিধা হবে না।
নাসিমা বেগম বলেন, ডিএনএ অধিদপ্তরের অধীনে জাতীয় সার্ভারে ডিএনএ নমুনা সংরক্ষিত থাকলে এ ধরনের অপরাধীকে ধরা অনেক সহজ হত। আলামত পরীক্ষা করে ডিএনএ মিলিয়েই ধর্ষণকারীকে চিহ্নিত করা যেত। তাতে এ ধরনের অপরাধও কমে যেত।
মানবাধিকার কমিশন বলেন, আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। মেয়েরা কি এতই সহজ যে, শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই যৌন সহিংসতার শিকার হবে। এখানে ওসিসিতে পুলিশ, ডাক্তার ও অ্যাডভোকেট আছেন, মেয়েটিকে সব ধরনের সহায়তা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর ঢাবি ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এর আগে রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তি মুখ চেপে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে। পরে রাত ১০টার দিকে সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
এসএস
মন্তব্য করুন