উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে পারে (ভিডিও)
আগামী তিন দিনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে পারে। বন্যাপূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, দেশে ও সীমান্তের ওপারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, তিস্তা-ধরলা ও মেঘনা অববাহিকার নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এদিকে, খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকটে চরম দুর্ভোগ বন্যার্তরা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, ২৫টি জেলা বন্যা কবলিত হয়ে এ পর্যন্ত ২৫ জন মারা গেছেন।
পদ্মার পানি বাড়তে থাকায়, দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে দিন কাটছে দুর্গতদের। ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত ডায়রিয়া, আমাশয় ও চর্মরোগ।
ফরিদপুরের পদ্মার পানি বইছে বিপদসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। পানিতে জেলার প্রায় দুইশ গ্রাম ডুবে আছে। রাজবাড়ীতে পানিবন্দি দিন কাটাচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জে পানিবন্দি আছে লাখো মানুষ।
শরীয়তপুরের পানিতে ডুবে থাকায় জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে। শেরপুরে ব্রহ্মপুত্র ও মৃগী নদীর ছয়টি স্পটে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন আমাদের এই নারায়নখোলা দক্ষিণ-পশ্চিম এই এলাকার অনেক জমি ও রাস্তাঘাট বিলীন হয়ে গেছে।
এলাকাবাসী আরও জানান, মানুষ যে কোথায় যাবে কি করবে এখন মানুষ খুবই অসহায় হয়ে পড়েছে।
টাঙ্গাইলে বাসাইলে তীব্র স্রোতে ব্রিজ ভেঙে অর্ধশত গ্রামের লাখো মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জামালপুরের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি জীবন কাটাচ্ছে
কুড়িগ্রামে তিন লাখ ও সিরাজগঞ্জে দুই লাখ ও গাইবান্ধায় দেড় লাখ মানুষের ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে আছে। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের। দুর্গত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ।
এলাকার মহিলারা জানান, পানির ওপরে একমাস ধরে আছি, খাওয়ার কষ্ট। কেউ খোঁজ খবর নেয় না খাওয়া-দাওয়া সমস্যা। রান্নাবান্নার খুবই কষ্ট আরেক বাড়ি থেকে পানি এনে খেতে হয়।
তীব্র স্রোতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুটে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। এদিকে বন্যার্তদের জন্য ৬০টি রেসকিউ বোট দেবে নৌবাহিনীর ডক ইয়ার্ড।
সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বন্যার্তদের পাশে রয়েছে সরকার। এ পর্যন্ত বন্যায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
এনএম/ এসএস
মন্তব্য করুন