রাজধানীতে চার ‘জঙ্গি’ আটক
রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের চার সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। সোমবার ভোরে রাজধানীর গাবতলী ও আমিনবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তাদের নাম-পরিচয় জানাননি। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কিনা তাও জানা যায়নি।
র্যাব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনের চার সদস্যকে পৃথক অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। আজ (সোমবার) দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরো পড়ুন
পি
মন্তব্য করুন
র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, মাইক্রোবাসসহ গ্রেপ্তার ৫
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও আটটি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. সাজ্জাদ হোসেন (৩৫), মো. কবির হোসেন (৫০), মো. শরিফ (২৫), মো. মনির হোসেন (৪০) ও মো. হাবিবুর খন্দকার (৩৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরের পর রাজধানীর ডেমরার মাতুয়াইলের ট্রাসমি কোম্পানি লি. এর ডিএমডি সাইফুল ইসলাম (৩৮) তাঁতিবাজারের রামের গদি নামের একটি স্বর্ণালংকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ ২৬ লাখ ১২ হাজার টাকা স্কুল ব্যাগের ভেতরে নিয়ে বাড্ডার বাসায় যাওয়ার জন্য বংশাল চৌরাস্তা থেকে প্রচেষ্টা বাসে ওঠেন। বিকেল আনুমানিক ৪টা ২৫ মিনিটে বাসটি রমনার কাকরাইল মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালে পড়লে হঠাৎ র্যাবের সদস্য পরিচয় দিয়ে ১০/১২ জন লোক ওই বাসে উঠেন।
তাদের মধ্যে ‘র্যাব’ লেখা জ্যাকেট পরিহিত একজনের কাছে হ্যান্ডকাফ ও ওয়্যারলেস সেটও ছিল। তারা যাত্রীদের বলেন, এই গাড়িতে মামলার আসামি রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন সাইফুল ইসলামকে দেখিয়ে দিলে অন্যরা তাকে ধরে জোরপূর্বক টানা হেঁচড়া করে বাস থেকে নামিয়ে তাদের একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে উঠান।
তিনি আরও বলেন, মাইক্রোবাসের মধ্যে তারা সাইফুল ইসলামের দু’হাত পেছনে নিয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন এবং ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে থাকা ২৬ লাখ ১২ হাজার টাকা, তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ ১০ হাজার টাকা, হাত ঘড়ি, প্যান্টে পরিহিত বেল্ট ছিনিয়ে নিয়ে দুই হাত ও চোখ বেঁধে ডেমরা এলাকার রাস্তায় ফেলে দেয়।
ডিএমপির এই উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় গত ১১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী মো. সাইফুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির রমনা মডেল থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার ইসিবি চত্বর এলাকা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। এ সময় চালক মো. কবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্য মতে ওই দিন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বংশালের আল রাজ্জাক হোটেলের সামনে অভিযান পরিচালনা করে সাজ্জাদ, শরিফ, মনির, হাবিবুর নামে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করে থাকে। এক্ষেত্রে তারা বাহিনীর সদস্যের মত চেইন অব কমান্ড মেনে নেতৃত্বস্থানীয় সদস্যদের ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেন এবং সে অনুযায়ী ডাকাতির পর ভাগের টাকা নির্ধারণ করেন। তাদের এই দলের মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০-১২ জন। যারা একেকটি ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্ন ধাপে কাজ করে থাকেন।
আরটিভি/কেএইচ
শেখ পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে ৫ কর্মকর্তা নিয়োগ
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে ৫ সদস্যর একটি দল গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, অনুসন্ধান দলটির নেতৃত্ব দেবেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। দলের অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, এস এম রাশেদুল হাসান এবং এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়েছে, দুদকের এই অনুসন্ধান দলটি আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকারের ৮ প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করবে। পাশাপাশি অনুসন্ধান করবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর এ অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটের বিবাদী করা হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের কথা জানিয়েছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গ্লোবাল ডিফেন্স করপোরেশনের তথ্যের বরাত দিয়ে গত ১৯ আগস্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনার পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার লোপাট করেছেন।
আরটিভি/কেএইচ
উপদেষ্টার সই জাল করে সিইও হতে গিয়ে ধরা
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের স্বাক্ষর জাল করা সুপারিশপত্র ব্যবহার করে যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে আরেক মেয়াদে নিয়োগের জন্য বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে আবেদন করেছেন কামরুল হাসান খন্দকার।
বুধবার (১ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার মুহম্মদ জসীম উদ্দিন।
তিনি বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় তার সব ডিওতে বাংলায় স্বাক্ষর করেন। তবে সুপারিশপত্রটিতে ইংরেজিতে করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ জাল। এ বিষয়ে সবাই সতর্ক থাকবেন।
জানা গেছে, কামরুল হাসান খন্দকার এই মুহূর্তে যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্সের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন। তার প্রথম দফার আবেদন নামঞ্জুর করেছে আইডিআরএ। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ২৪ ডিসেম্বর বড় ধরনের জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সুপারিশসহ আবেদন করেন।
আইডিআরএ সূত্র জানায়, কামরুল হাসানের নিয়োগ নবায়নের আবেদন করা হয় ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর। ওই আবেদনে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা হয় ভারতের উত্তর প্রদেশের ডিমড ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০২ সালে দূরশিক্ষণে এমবিএ পাস। পরে কামরুল হাসানের বিদেশি এমবিএ ডিগ্রির মান সমতাকরণ এবং ইবাইস ইউনিভার্সিটির সনদপত্র দুটির বৈধতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে বলে আইডিআরএ। তবে কামরুল হাসান তার বিদেশি ডিগ্রির মান সমতাকরণ বা ইবাইস ইউনিভার্সিটির সনদপত্র দুটির বৈধতার বিষয়ে কোনো প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি।
তবে শিক্ষাসনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় গত ১৯ মার্চ যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে কামরুল হাসান খন্দকারের নিয়োগ নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর করে আইডিআরএ। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে আইডিআরএ’র কাছে আরেকটি আবেদন জমা দেন কামরুল হাসান খন্দকার। এ আবেদনে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সই জাল করে একটি সুপারিশপত্র দেয়া হয়। সেখানে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নামের একটি সিল ব্যবহার করা হয়েছে এবং ইংরেজিতে সই দেয়া হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর একটি আধাসরকারি পত্র দেন। এতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের ব্যক্তি-স্বার্থ চরিতার্থ করা ও অবৈধ সুবিধা নেয়ার লক্ষ্যে কিছু অসাধু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী আমার আত্মীয় পরিচয় বা নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন দফতরে তদবির করছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এতে আমার সুনাম বিনষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি আমার সই নকল বা জাল করে আমি সুপারিশ করেছি মর্মে অনেকেই বিভিন্ন দফতরে আবেদন দাখিল করছে, যা এরই মধ্যে আমার গোচরীভূত হয়েছে। আমার আত্মীয় পরিচয় বা নাম ব্যবহার করে কেউ কোনো কাজ উদ্ধারের চেষ্টা করলে বা তদবির করলে তা বিবেচনার সুযোগ নেই।
আধাসরকারি ওই পত্রে আরও বলা হয়, আপনার প্রতিষ্ঠান ও আওতাধীন দফতর বা সংস্থায় এ ধরনের কোনো তদবির হলে বা আমার সই নকল বা জাল করে কোনো আবেদন দাখিল করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে আমার একান্ত সচিবকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করছি। আপনার আওতাধীন সব দফতর বা সংস্থায় আমার বর্তাটি পাঠিয়ে এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়ার অনুরোধ করছি।
আরটিভি/কেএইচ
নাফিজ সরাফাতের ২২ ফ্ল্যাটসহ প্লট ক্রোকের নির্দেশ
পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ২২টি ফ্ল্যাট, ২টি বাড়িসহ সব প্লট ও জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন। দুদকের উপপরিচালক মাসুদুর রহমানের পক্ষে এই আবেদনটির বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন দুদকের পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে ব্যাংক থেকে ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির অভিযোগও রয়েছে। অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-ও তাঁর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত করছে। এবছরের জানুয়ারিতে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, তাঁর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহীদ ও ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফতের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা (বিএফআইইউ) এরমধ্যেই নাফিজ, তাঁর স্ত্রী, সন্তানের ব্যাংক হিসাবগুলো ফ্রিজ করেছে। গত অক্টোবরে দুদকের এক আবেদন গ্রহণ করে নাফিজ সরাফতের বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকার একটি আদালত।
আদালতে জমা দেওয়া দুদকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের নামে রাজধানীর গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় ১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। গুলশান-২–এ রয়েছে ২০ তলাবিশিষ্ট একটি বাড়ি। এর বাইরে পূর্বাচলে সাড়ে সাত কাঠার একটি প্লট রয়েছে। এ ছাড়া গাজীপুর ও বাড্ডায় তাঁর ২৫ কাঠার জমি রয়েছে।
স্ত্রী আঞ্জুমান আরার নামে পান্থপথ, গুলশান, পল্লবী ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬টি ফ্ল্যাট এবং বসুন্ধরা, নিকুঞ্জ, বাড্ডা ও গাজীপুরে ২১.২৫ শতাংশ সম্পদ আছে। অপরদিকে বনানী ও বারিধারায় ৭টি ফ্ল্যাট আছে তাদের ছেলে সাফওয়ান সরাফাতের নামে।
আরটিভি/এএইচ/এআর