মোটরসাইকেল সংঘর্ষে আহত আরোহীর জুতায় ১৮ স্বর্ণের বার, আটক ১
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার সাইনবোর্ড এলাকায় দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কে এক মোটরসাইকেল আরোহীর জুতার ভেতর থেকে ১৮ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ এ স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোটরসাইকেল চালক দেওয়ান ইসমাইল হোসেনকে আটক এবং আঞ্জু বেগম নামে স্থানীয় এক নারীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ইসমাইলের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামে। বাবার রাম দেওয়ান মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আঞ্জু বেগম জানান, দৌলতদিয়ার সাইনবোর্ড এলাকায় দুটি দ্রুতগামী পালসার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় মোটরসাইকেলের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে চালক ও আরোহীদের উদ্ধার করে। এ সময় রাস্তার ওপর পড়ে থাকা চামড়ার জুতার ভেতর থেকে ১৮ পিস স্বর্ণের বার পাওয়ায় পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
আটককৃত ইসমাইল জানান, তিনি কুষ্টিয়াতে বিএডিসির চাকরিতে যোগদানের জন্য যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে এলাকার ফরহাদের ছেলে বিল্পব নামে এক যুবক ছিলেন। মোটরসাইকেল সংঘর্ষের পর বিল্পব কোথায় গেছে তা জানেন না। তবে যে স্বর্ণের বার পাওয়া গেছে এগুলো তার না এবং তিনি জানেনও না সেগুলো কার।
---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : কে এই রহস্যময় আজিজ মোহাম্মদ ভাই?
---------------------------------------------------------------------
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, দৌলতদিয়ার সাইনবোর্ড এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এ সময় স্থানীয়রা রাস্তার ওপর পড়ে থাকা জুতার ভেতর থেকে ১৮ পিস স্বর্ণের বার পেয়ে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। প্রতিটি বারের ওজন ১০০ গ্রাম। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মোটরসাইকেল দুটি জব্দ ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে একটির চালক ইসমাইল হোসেনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার পায়ে জুতা ছিল না। তবে ইসমাইল দাবি করেছেন তিনি এ স্বর্ণের বারের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। বিএডিসির চাকরিতে যোগদানের জন্য কুষ্টিয়ায় যাচ্ছিলেন। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারের বিষয় পৃথক আইনগত ব্যবস্থা এবং এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরে পুলিশ গিয়ে স্বর্ণের বারসহ ইসমাইলকে আটক করে। তাকে আহত অবস্থায় গোয়ালন্দ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পি
মন্তব্য করুন