নতুন ৩ জনসহ মোট ৫৫ জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত
করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে আরও এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও দুই সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এই নিয়ে মোট ৫৫ জনপ্রতিনিধিকে ত্রাণ আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগে বহিষ্কার করা হলো।
নতুন করে সাময়িক বরখাস্তরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউপির চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া, রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আকবর আলী এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার আহাম্মদপুর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. কামাল হোসেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে মঙ্গলবার (১২ মে) এ সংক্রান্ত আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। দুর্যোগকালে ত্রাণ আত্মসাৎ করে কেউ যাতে পার না পায়- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশনার পরই মূলত কঠোর হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অফিস আদেশও জারি করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগ জানায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে মোট ৫৫ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ২০ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৩৩ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং একজন পৌরসভার কাউন্সিলর।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, বরখাস্ত হওয়াদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জেল হাজতে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
পি
মন্তব্য করুন