সাহেদকে নিয়ে মধ্যরাতে অভিযান, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার (ভিডিও)
করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান এবং অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে নিয়ে গভীর রাতে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাদিয়া ফারজানা।
ডিবি পুলিশ জানায়, মো. সাহেদের মামলা ডিবিতে হস্তান্তর হওয়ার পর থেকেই অধিকতর তদন্ত চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় গেলো রাতে উত্তরায় অভিযান চালানো হয়। এসময় তার ব্যক্তিগত গাড়িটি জব্দ করে পুলিশ। তাতে এক রাউন্ড গুলিসহ অস্ত্র পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় দুটি মামলা করেছে ডিবি পুলিশ। তারমধ্যে একটি অস্ত্র আইনে অন্যটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, রাতে ডিবি সদস্যরা সাহেদকে নিয়ে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপদ রোডের ৬২ নম্বর বাসার সামনে অভিযান চালায়। সেখানে সাহেদের নিজস্ব সাদা প্রাইভেটকার ছিল। সেই প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ডিবির সদস্যরা ৫ বোতল বিদেশি মদ, ১০ বোতল ফেনসিডিল ও একটি পিস্তল উদ্ধার করে। এরপরই অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানায় এ পর্যন্ত সাহেদের বিরুদ্ধে ৫টি প্রতারণাসহ মোট ৭টি মামলা হয়েছে। গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরের দিন ১৬ জুলাই সাহেদ এবং রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। আর সাহেদের প্রধান সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীর দ্বিতীয় দফায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন সাহেদ।
আরও পড়ুন:
পি
মন্তব্য করুন