রিজেন্টের সাহেদের অস্ত্র মামলায় ৫ সাক্ষীর জবানবন্দি শেষ
করোনা টেস্টে জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় ৫ সাক্ষীর জবানবন্দি নেয়া শেষ হয়েছে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর এ মামলার বাদী পুলিশ ইন্সপেক্টর এসএম গাফফারুল আলমের আংশিক সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিলো। যা রোববার শেষ হওয়ার পর পুলিশের এডিসি বদরুজ্জামান, এসআই কবির হোসেন, জনৈক চান মিয়া এবং নিজামুল সাক্ষ্য দেন।
এর আগে এদিন মামলার বাদী পুলিশ ইন্সপেক্টর এসএম গাফফারুল আলমকে আইনজীবী জেরা শেষ করেন। এরপরই ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ নিয়ে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের জবানবন্দি নেওয়া শেষ হলো। সাক্ষ্য দিতে বাকি রয়েছেন আরও ৯ জন।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট এ মামলায় একই আদালত আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। তার আগে গত ৩০ জুলাই সংশ্লিষ্ট মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
করোনা টেস্ট না করে ভুয়া রিপোর্ট এবং ভুয়া নেগেটিভ ও পজেটিভ সনদ প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদকে সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গত ১৫ জুলাই গ্রেপ্তার করে র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইং। এরপর ১৬ জুলাই ওই মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত। রিমান্ডে নিয়ে অভিযান চালিয়ে উত্তরার তার একটি কার্যালয় থেকে অবৈধ অস্ত্র ও এবং জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৪ মামলায় গত ২৬ জুলাই আদালত তার ৭ দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে গত ১০ আগস্ট পদ্মা ব্যাংকের ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ৬ হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। এরপর সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন
কেএফ/ এমকে
মন্তব্য করুন