নয় হাজার টাকা ঘুষ: তিতাসের ২ কর্মকর্তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
নয় হাজার টাকা ঘুষ নেয়ায় ডেমরার তিতাস গ্যাস অফিসের দুই কর্মকর্তার ৫ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- ডেমরার তিতাস গ্যাস অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার ও টেকনিশিয়ান মো. আব্দুর রহিম।
রোববার (১১ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডে আদেশ দেন আদালত।
রায় ঘোষণার কামরুজ্জামান সরকার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে আব্দুর রহিম অসুস্থ থাকায় রায় ঘোষণা পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত তা নামঞ্জুর করেন। পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, রাজধানীর দক্ষিণখানে অবস্থিত নিপ্পন সোয়েটার্সের মালিক ডি এম আসাদুজ্জামান আওলাদ তার প্রতিষ্ঠানের গ্যাস মিটার সংযোগের জন্য আবেদন করেন। এ দুই আসামি তার কাছে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এবং জানান টাকা না দিলে মিটার সংযোগ দেয়া হবে না। গ্যাস বন্ধ থাকায় ব্যবসার ক্ষতির কথা বিবেচনা করে তিনি নিরূপায় হয়ে টাকা দিতে রাজি হন।
২০০৭ সালের ১০ জুন কামরুজ্জামান দুই হাজার টাকা ও ১৩ জুন আব্দুর রহিম সাত হাজার টাকা প্রতিষ্ঠানের সহকারী হিসাব রক্ষক মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে নিয়ে যায়। বাকি টাকা মিটার সংযোগের দিন দেয়ার জন্য আসামিরা চাপ সৃষ্টি করলে তিনি তা দিতে রাজি হন।
আরও পড়ুনঃ
বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বাসের ধাক্কা, দুই পর্যটক নিহত
করোনায় মারা গেলেন ভাষাসৈনিক মির্জা মাজহারুল ইসলাম
আসামিরা জানায়, ১৪ জুন মিটার সংযোগ দেয়া হবে। আসাদুজ্জামান আওলাদ বিষয়টি র্যাব-১ কার্যালয়ে জানায়। বেলা তিনটার দিকে আসামিরা মিটার সংযোগ দিতে আসলে র্যাব সাদাপোশাক পরে আশপাশে অবস্থান নেয়। কাজ শেষে বাকি ৬ হাজার টাকা দাবি করলে আওলাদ তার ম্যানেজার মকবুলের কাছে নিতে বলেন। টাকা নেয়ার সময় র্যাব তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
২০০৭ সালের ১৫ জুন মাসে ডি এম আসাদুজ্জামান আওলাদ মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক জাহিদ হোসেন দুই জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন।
একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। চার্জশিটভুক্ত ৮ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় সাতজন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
এসজে
মন্তব্য করুন