আরও ২৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার আরও ২৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এর আগে, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দেশের বিভিন্ন আদালত থেকে ৭৮ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী জামিন পেয়েছে।
এদিকে, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রসহ জামিন আবেদন করলে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনি সহায়তা দেবে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন
ট্রাইব্যুনালে আরও এক প্রসিকিউটর নিয়োগ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও একজন প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়োগ পাওয়া এই প্রসিকিউটর হলেন আইনজীবী সাইমুম রেজা তালুকদার।
সোমবার (৭ অক্টোবর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর চিফ প্রসিকিউটরসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ।
এতে প্রধান প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আরও চারজন আইনজীবীকে এই ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা হলেন, মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আবদুল্লাহ আল নোমান। তবে এর মধ্যে আইনজীবী মিজানুল ইসলাম যোগদান করেননি।
আরটিভি/এআর
মুক্তি পেলেন সাবের হোসেন চৌধুরী
সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর দ্রুত মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে আদালতের গারদখানা থেকেই তিনি মুক্তি পান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের গারদখানার ইনচার্জ পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেন।
এর আগে, বিকালে সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। খিলগাঁও থানাসহ পৃথক ছয় মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমান এই জামিন দেন।
গতকাল থেকে একটি হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকাকালে অসুস্থ বোধ করায় তদন্ত কর্মকর্তা তাকে আদালতে হাজির করেন আজ। এ সময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এরপর সাবের হোসেনের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন ছয়টি মামলায় জামিন চেয়ে পৃথক আবেদন করেন আদালতে।
শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলাগুলোর মধ্যে পল্টন থানায় দুটি হত্যা মামলা, খিলগাঁও থানায় দুটি হত্যা মামলা ও একই থানায় আরও দুটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা হয় পৃথক মামলা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন আদেশ দিলে আদালত কক্ষেই বিক্ষোভ করেন উপস্থিত আইনজীবীরা। তাদের কেউ কেউ গালাগালিও দেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে মকবুল নামে এক কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবের হোসেন চৌধুরীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বাদীপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে, রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির একদফা দাবি আন্দোলন কর্মসূচি ঘিরে সারা দেশের নেতাকর্মীরা যখন জড়ো হতে থাকেন, তখন আসামিরা বিএনপির সমাবেশ বানচালের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৬০০ জন আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। আসামিরা বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর করেন।
এ সময় পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ ও গুলি করেন। এতে মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মী আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় মাহফুজুর রহমান নামে একজন গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আসামি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
আরটিভি/এএইচ-টি
ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
রাজধানীর বাড্ডায় সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করার খোঁজখবর নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড ও চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, আসামি ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড এবং আসামি রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ মন্ডল, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ৮ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই জনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। এরপর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।
আরটিভি/এসএপি
‘মানুষ যখন পশু হয়ে যায় তখন তার জীবন কেড়ে নেওয়াই শ্রেয়’
রাজধানীর বাড্ডায় সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করতে খোঁজখবর নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড ও চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ‘একজন মানুষ যখন পশু হয়ে যায়, তখন তার জীবন কেড়ে নেওয়াই শ্রেয়।’
বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৬-এর বিচারক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘গণপিটুনির নামে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় মানুষ হত্যার লাইসেন্স দেওয়া হলে তা এ সমাজের যেকোনো মানুষের জন্য আতঙ্ক ও অনিরাপত্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটবে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।’
জানা গেছে, আসামি ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড এবং আসামি রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ মণ্ডল, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ৮ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই জনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। এরপর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।
আরটিভি/এসএপি-টি
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ পাঠানো হবে: চিফ প্রসিকিউটর
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার হুকুমদাতা ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া হিসেবে ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান চিফ প্রসিকিউটর।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারক নিয়োগের পর এ সপ্তাহেই গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে। শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থায় এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারক নিয়োগ হওয়া মাত্রই ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর আমরা ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রয়োজনীয় কিছু আদেশ চাইব। বিচার শুরুর আগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আসামিদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা, অনেক রকমের তথ্য উপাত্ত এবং এগুলো সিজ করার জন্য আদেশ লাগবে। অভিযুক্তদের দ্রুততার সঙ্গে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য লাগবে। সে ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে আদেশ আসবে।
তিনি বলেন, আদেশ বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব কিন্তু ট্রাইব্যুনালের হাতে না, এর দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘মূলত যাদের নির্দেশে ও যাদের কারণে এই গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল তাদেরকে আমরা অগ্রাধিকার তালিকায় শুরুতে নিয়ে এসেছি। আইন অনুযায়ী, তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সাহায্য চাওয়া হবে। কোনো অপরাধী বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকলে ইন্টারপোলের সিস্টেমের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে বাংলাদেশ ইন্টারপোলে রেড নোটিশ পাঠাতে পারে। আর এর কল্যাণে আমরা অনেককেই দেশে ফেরত আনতে পারব।’
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা, প্রজ্ঞাপন জারি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তালেব স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিন দুপুর ১২টার দিকে তিনি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করবেন।
প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ১৯৭৩ সালের ৬ এর এ ক্ষমতাবলে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।
এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সদস্য হিসেবে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
এর আগে গতকাল সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে হাইকোর্টের দুজন বিচারপতি এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজকে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জুলাই গণহত্যার বিচারকাজ শুরু করার ব্যাপারে যা করার ছিল, তার একটা বড় ধাপ সম্পন্ন হয়েছে।
খুব শিগগিরই জুলাই গণহত্যার বিচারকাজ শুরু হয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ উপদেষ্টা।
আরটিভি/এসএইচএম
১২ বিচারপতিকে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হবে না: সুপ্রিম কোর্ট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আওয়ামীপন্থী ১২ বিচারপতিকে আপাতত কোনো বেঞ্চ না দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে বিক্ষোভস্থলে গিয়ে আন্দোলনরতদের এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, আপাতত ১২ বিচারপতিকে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ আগামী ২০ অক্টোবর আদালত খুললে তারা বিচারকাজে অংশ নিতে পারবেন না।
আজিজ আহমদ আরও বলেন, ২০ অক্টোবর বিচারকদের অপসারণসংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তোলা হবে। ওইদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেবেন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায় আশা করি রোববার আসবে। বিচারপতিদের সেদিনই পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি বলেন, রায়ের জন্য রোববার বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরমধ্যে ফ্যাসিস্ট ১২ বিচারপতিকে অপসারণ না করলে আরও কঠোর আন্দোলনের যাবো।
এর আগে, দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে বুধবার দুপুর থেকে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে আওয়ামীপন্থী ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এই ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আরটিভি/আরএ/এসএ