আরও ২৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার আরও ২৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এর আগে, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দেশের বিভিন্ন আদালত থেকে ৭৮ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী জামিন পেয়েছে।
এদিকে, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রসহ জামিন আবেদন করলে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনি সহায়তা দেবে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন
সাবেক ১৮ মন্ত্রী ও ৮ এমপির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ ১৮ মন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, কাজী নাবিল আহমেদসহ ৮ সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া মন্ত্রীরা হলেন- সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, সাবেক প্রবাসী ও কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুল হক, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, সাবেক ধর্ম বিষয়কমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সাবেক সংসদ সদস্যরা হলেন- বেনজির আহমেদ, কাজী নাবিল আহমেদ ও শহিদুল ইসলাম বকুল, এ কে এম সরওয়ার জাহান, শেখ আফিল উদ্দিন, মেহের আফরোজ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও শেখ হেলাল।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাবেক ১০ মন্ত্রী ও তিন সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া দুদকের উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাবেক আট মন্ত্রী ও পাঁচ সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে, গত ২৯ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আট মন্ত্রী ও ছয় সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
শেখ হাসিনাসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাসেল নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মহানগর হাকিম সাদ্দাম হোসেনের আদালকে এ মামলটি দায়ের করেন নিহত রাসেলের ভাই মো. রুবেল। মামলাটি আমলে নিয়ে এজহার হিসেবে নেওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ী থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি মামুনসহ আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর গত ২৫ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ১০৬টি মামলার তথ্য পাওয়া গেল। এর মধ্যে ৯৮টিই হত্যা মামলা।
সই করতেও পারেননি হাজী সেলিম, কাঠগড়ায় কাঁদলেন
রাজধানীর আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ সময় আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাবেক এই সংসদ সদস্য।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান শুনানির পর তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, এদিন কাঠগড়ায় তোলার পর হাউমাউ করে কাঁদেন হাজী মোহাম্মদ সেলিম। হলফনামায় সই নিতে চাইলে তিনি সেখানে সই করতেও পারেননি। পরে তার টিপসই নিয়ে আদালতে তার পক্ষে হলফনামা দাখিল করেন আইনজীবী প্রাণ গোপাল নাথ।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বংশাল থানা এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে রোববার রাতে রাজধানীর বংশাল থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সাইফুল্লাহ হত্যার অভিযোগে লালবাগ থানার মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়।
গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজধানীতে আরও পাঁচ হত্যা মামলা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার সেঞ্চুরি পূরণ হয়েছে আগেই। এখনও হচ্ছে নতুন নতুন মামলা। সবশেষ তাকে প্রধান আসামি করে আরও পাঁচটি হত্যা মামলা হয়েছে রাজধানীতে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসব মামলার আবেদন করা হয়। এ ছাড়া একটি হত্যাচেষ্টার মামলাও হয়েছে। আদালত আবেদনগুলো আমলে নিয়ে চারটি হত্যা মামলা যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া অন্য দুটি মামলা তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন পিবিআইকে।
সবশেষ মামলাগুলোর মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সাইফ আরাফাত শরীফকে হত্যার অভিযোগে তার মা মোসা. মরিয়ম ৯৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এ মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে আছেন শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু।
সাইদুল ইসলাম ইয়াসিন হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন তার মা শিল্পী আক্তার। গুলিতে ওবায়দুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের স্বজন মো. আলী। এ মামলায় উল্লেখযোগ্য অপর আসামিদের মধ্যে আছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদ, রমেশ চন্দ্র সেন, দ্রৌপদি আগরওয়ালা, আছাদুজ্জামান, হারুন-অর-রশীদ।
গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তির নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্বজন মো. আলী। এ মামলায় উল্লেখযোগ্য অপর আসামিদের মধ্যে আছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদ, রমেশ চন্দ্র সেন, দ্রৌপদি আগরওয়ালা, আছাদুজ্জামান, হারুন-অর-রশীদ।
গত ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজলা ফুটওভার ব্রিজের কাছে গুলিতে মারা যান রাসেল নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় তার ভাই রুবেল শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৩৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এ মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল, মশিউর রহমান মোল্লা সজল, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হারুন-অর-রশীদ।
এছাড়া রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় শুভ নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনসহ ১৩৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে ভিকটিমের মা রেনু মামলাটি করেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কামাল আহমেদ মজুমদার, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাদেক খান, ফেরদৌস আহমেদ, গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু, সাবিনা আক্তার তুহিন, মনোয়ার হোসেন ডিপজল, নূর আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়াল, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান দোলন।
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অক্সফোর্ডিয়াং ল্যাবরেটরি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আসফিক ইবনে আরমান ইসাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমির আদালতে ইসার বাবা আবুযর মো. আরমান আলী জুয়েল মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবের হোসেন চৌধুরী, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাবিবুর রহমান, হারুন-অর-রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই রামপুরা থানাধীন বনশ্রী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ইসা।
আদালতকে যা বললেন সাবেক আইজিপি শহীদুল ও মামুন
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর পৃথক স্থানে দুই ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল মামুনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে তাদেরকে আদালতে আনা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
এ সময় আদালতে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমি পুলিশ প্রধান থাকতে কোনো মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করিনি। পুলিশকে জনগণের কাছে নিয়ে গেছি। আমি যতদিন চাকরি করেছি মানুষের সেবা করেছি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনোটাই সত্য নয়। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
অপরদিকে রিমান্ড শুনানির সময় আদালতে কোনো কথা বলেননি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। আদালতের এজলাস কক্ষের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীদের বক্তব্য শোনেন তিনি। এসময় পুলিশের হেলমেট পরিধেয় অবস্থায় তাকে দেখা যায়। তবে শুনানির এক পর্যায়ে হেলমেট খুলে ফেলেন শহীদুল হক।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদকে গুলি করে হত্যা মামলায় আবদুল্লাহ আল মামুনের ৮ দিন ও রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যা মামলায় শহীদুল হকের ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে উত্তরা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত কমিশনার) রেজাউল করিম মল্লিক নিশ্চিত করেছিলেন।
সাবেক এই দুই আইজিপির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আবদুল্লাহ আল মামুন আইজিপি ছিলেন ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে ৬ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। আর শহীদুল হক ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন।
যে কারণে রিমান্ড শেষ না করেই হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠানো হলো
সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ৫ দিনের রিমান্ড শেষ না করে দুই দিনের মাথায় আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রিমান্ড ফেরত প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আক্কাস মিয়া বলেন, ‘আসামি হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে আদালতের আদেশ মোতাবেক পুলিশ রিমান্ডে প্রাপ্ত হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে সতর্কতার সাথে মামলার ঘটনার বিষয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কাছ থেকে মামলার ঘটনার বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গোপন রেখে যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। আসামি কথা বলতে পারে না এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় এবং কথা বলতে না পারায় তাকে গভীর ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড হলেও তার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় এবং সে কথা বলতে না পারায় তাকে রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে তাকে আপাতত আর জিজ্ঞাসাবাদ না করে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন। মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিকে ভবিষ্যতে আরও রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বিধায় মামলার তদন্তকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।’
এর আগে, গত ১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে রাজধানীর বংশাল থানাধীন এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে আটক করা হয়। গত ২ সেপ্টম্বর একই আদালত লালবাগ থানার আইডিয়াল কলেজের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় হাজী সেলিমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট তার বাবা কামরুল হাসান বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
২১ সেপ্টেম্বর ‘অভিভাষণ’ দেবেন প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ‘অভিভাষণ’ দেবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে আগামী শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে অভিভাষণ দেবেন। অনুষ্ঠানে বিচার বিভাগের জন্য একটি রোডম্যাপ তুলে ধরবেন।
এদিকে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য একটি স্মারক জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
ওই স্মারকে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন। অনুষ্ঠানে সব বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে (একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দিয়ে কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশনা দিয়ে) যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।