নিরপরাধ জাহালাম জেলে, দুদক মহাপরিচালকসহ চারজনকে হাইকোর্টে তলব
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেয়ার ঘটনায় দুদক মহাপরিচালকসহ চারজনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ভুল আসামি জাহালামকে কেনো মুক্তি দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
আজ (সোমবার) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক (আইন) মইদুল ইসলাম, মামলার বাদী, আইন সচিবের প্রতিনিধি ও স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতিনিধিকে আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
প্রায় তিন বছর জেলে আটকে আছেন নিরপরাধ জাহালম। তবে এ মামলায় অভিযুক্ত যিনি তার নাম আবু সালেক। সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়েছে।
কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খেটেছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন নিরাপরাধ জাহালম। যিনি পেশায় একজন পাটকলশ্রমিক। জাহালমের কারাবাসের তিন বছর পূর্ণ হবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি। দুদক এখন বলছে, জাহালম নিরপরাধ প্রমাণিত হয়েছেন। তদন্ত করে একই মত দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও।
প্রকৃত পক্ষে এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত আবু সালেক নামের এক লোক। তিনি ভুয়া ঠিকানায় ১০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলেন। এর একটি রয়েছে জাহালমের পাশের গ্রামের একটি ভুয়া ঠিকানা। কিন্তু সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ালো জাহালমের জীবনে। কারণ, দুজনের চেহারায় একটু মিল রয়েছে। দুদক ও ব্যাংক কর্মকর্তারা সবাই জাহালমকেই ‘আবু সালেক’বলে শনাক্ত করেন। পরে দুদক তলব করে তাকে।
যদিও পুলিশ ও আদালত সবখানেই তিনি বলেছেন ‘আমি জাহালম, আমি আবু সালেক না।’ কেউ তার কথা শোনেননি।
পরে মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে বেরিয়ে আসে, আবু সালেক আর জাহালম একই ব্যক্তি নন।
জেএইচ
মন্তব্য করুন