জামিন পেলেন ড. ইউনূস
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করায় চাকরিচ্যুতের অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলায় জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
আজ রোববার (৩ নভেম্বর) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাকিয়া পারভিনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ১০ হাজার টাকার মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২৮ অক্টোবর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও খোন্দকার দিলুরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। এছাড়া বিমানবন্দরে নামার পর থেকে তাকে সাত নভেম্বর পর্যন্ত গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এসএস
মন্তব্য করুন
১৭ বছর পর কারামুক্ত বিএনপি নেতা পিন্টু
আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু প্রায় ১৭ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার পর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সরাসরি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে যাচ্ছেন পিন্টু। পরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় অফিসে যাবেন।
জিয়াউর রহমানের মাজারে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও পিন্টুর ছোট ভাই বিএনপি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালে তিনি উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
২০০৮ সালের জানুয়ারিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি। তখন থেকেই কারাগারে ছিলেন তিনি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় পিন্টু ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। গত ১ ডিসেম্বর এই মামলায় তিনি খালাস পান।
কয়েদি হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মো. জাভেদ নামে এক কয়েদিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুর রহমানের আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহতের খালাতো ভাই ও ঘটনার সময় কারাগারে আহত কয়েদি শিকদার লিটন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ভুক্তভোগী মারা গেছেন কি না ও এই ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়েছে কি না এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা কয়েদিরা আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় এজাহারনামীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সারাদেশের মতো দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে কয়েদিদের ওপর গুলিবর্ষণ করেন। গুলিবর্ষণে অনেক কয়েদি আহত হন এবং মো. জাভেদ নামে একজন কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় কারাগারে থাকা নিহতের খালাতো ভাই সাংবাদিক শিকদার লিটন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
২০১৯ সালে আলোচিত ফরিদপুরে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাচার চক্রের মূলহোতা শেখ হাসিনার বেয়াই এবং সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের সহযোগী ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি আরিফুর রহমান দোলনের বিরুদ্ধে নিউজ করেন সাংবাদিক লিটন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা দিয়ে ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৫ আগস্টে গুলিবর্ষণে তিনিও আহত হন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরটিভি/এফএ/এস
ভারত থেকে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিষিদ্ধে আইনি নোটিশ
ভারত থেকে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।
রেজিস্ট্রি ডাকযোগে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এই নোটিশ পাঠান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক বরাবর এ আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিশ্বের সব দেশ ‘তুলনামূলক সুবিধা’ নীতি অনুসরণ করে থাকে। আন্তর্জাতিকভাবে আমদানির ক্ষেত্রে তুলনামূলক সুবিধা বলতে এমন একটি অর্থনৈতিক নীতি বোঝায়, যেখানে একটি দেশ সেই সব পণ্য বা সেবা আমদানি করে যেগুলো দেশীয়ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হলেও তা তুলনামূলকভাবে বেশি সুযোগ ব্যয়ে উৎপাদিত হয়।
এ নীতির মাধ্যমে দেশটি নিজের সম্পদ ও দক্ষতা সেসব খাতে কেন্দ্রীভূত করে, যেখানে তার তুলনামূলক সুবিধা রয়েছে। ফলে দেশটি কম খরচে উচ্চ মানসম্পন্ন পণ্য আমদানি করতে পারে এবং বাণিজ্যের মাধ্যমে আর্থিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটায়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ভারত থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আমদানির নীতি ‘তুলনামূলক সুবিধা’ অনুসরণ করা হচ্ছে না। বাংলাদেশ ভারত থেকে কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির পাশাপাশি ব্যাপক পরিমাণ অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে থাকে। এ অপ্রয়োজনীয় পণ্য বলতে সেই পণ্যগুলোকে বোঝায় যেগুলো আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো এসব পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
এছাড়া বাংলাদেশের যে আমদানিকারকরা ভারতীয় পণ্য আমদানি করেন তারা অধিকাংশই প্রকৃত আমদানিকারক নন। তারা মূলত ভারতীয় রপ্তানিকারকদের দালাল। এই দালাল আমদানিকারকরা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের নির্দেশনা অনুযায়ী কম দামে ভারত থেকে মালামাল আমদানি করে সেগুলো বাংলাদেশে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেন এবং সেগুলোর মূল্য হুন্ডি করে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের কাছে পাঠিয়ে দেন এবং বিনিময়ে কিছু কমিশন পান। এর ফলে দেখা যায়, বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, কোনো কোনো পণ্য খুব কম দামে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে, কিন্তু বাজারে গিয়ে ক্রেতারা দেখতে পান পণ্যের দাম কোনোভাবেই কমেনি। অন্যদিকে সরকার মাঝে মাঝে জনগণের দুর্দশা লাঘব করার জন্য ভারত থেকে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় দেয়, কিন্তু এতে বাজারে কোনো প্রভাব পড়ে না। তবে এর ফলে ভারতীয় রপ্তানিকারক ও তাদের বাংলাদেশি দালাল আমদানিকারকদের লাভ হয়। কারণ, তারা কম খরচে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি করে বেশি দামে বিক্রি করে থাকেন।
মূলত ভারতীয় রপ্তানিকারকরা তাদের ব্যবসায়িক অপকৌশলের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে দালাল আমদানিকারকদের নিয়োজিত রাখেন। এর ফলে সব অপ্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশের বাজারে ছেড়ে দেন বা ডাম্পিং করেন। ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই অপকৌশলের ফলে বাংলাদেশ কয়েকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রথমত কম দামে পণ্য ভারতীয় পণ্য আমদানি হলেও বাংলাদেশের বাজারে সেগুলো উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়। ফলে ‘তুলনামূলক সুবিধা’ নীতি অনুযায়ী জনগণ কম দামে পণ্য কিনতে পারে না। দ্বিতীয়ত আমদানি মূল্য কম দেখানোর কারণে সরকার কম শুল্ক পায়। তৃতীয়ত আমদানি করা পণ্য বেশি দামে বিক্রি করে বাংলাদেশি দালাল আমদানিকারকেরা লাভের অংশ হুন্ডি করে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের কাছে পাঠিয়ে দেন, ফলে মানি লন্ডারিং হয়। চতুর্থত, ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা তাদের বাংলাদেশি দালাল আমদানিকারকদের মাধ্যমে সব অপ্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশের বাজারে ছেড়ে দেন বা ডাম্পিং করেন। এর ফলে বাংলাদেশের স্থানীয় শিল্পকারখানা ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয় এবং বাংলাদেশের ক্ষুদ্রশিল্প ভালোভাবে গড়ে উঠতে পারে না। পঞ্চমত, অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হয়।
এ আইনি নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ভারত থেকে সব অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করতে এবং যে বাংলাদেশি দালাল আমদানিকারকরা (ডামি ইমপোর্টার্স) ভারত থেকে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করেন এবং হুন্ডি বা মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের লাভের টাকা পাঠান তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নোটিশে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরটিভি/আরএ
ভারতে যাচ্ছেন আরও ৫০ বিচারক
ভারতের ভুপালে ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি এবং স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য অধস্তন আদালতের আরও ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে অনুমতি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। অনুমতিপ্রাপ্ত বিচারকরা আগামী ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।
সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
প্রশিক্ষণের জন্য সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি ভুপাল এবং একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাককে অনুমতি দেওয়া হলো।
প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের এপ্রিলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ওই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তত্কালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছিলেন, পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিসিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভুপালে তাদের জাতীয় জুডিসিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১৫-১৬শ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।
এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে ইতোমধ্যে অনেক বিচারক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এ চুক্তি আওতায়।
আরটিভি/এসএইচএম/এস
তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করল রাষ্ট্রপক্ষ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চাঁদাবাজির চারটি মামলা বাতিল করেন হাইকোর্ট। মামলা বাতিলসংক্রান্ত হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
রোববার (৫ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রাষ্ট্রপক্ষের এসব আবেদন শুনানির জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে আবেদনগুলোর ওপর শুনানি হবে।
আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, মামলা বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা সঠিক হয়নি।
এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চারটি মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০০৭ সালে বিভিন্ন ব্যক্তি বাদী হয়ে গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ ও ধানমন্ডি থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এসব মামলা করেন।
আরটিভি/এসএইচএম/এস
রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ, তারেক রহমানের চার মামলা বাতিলের রায় বহাল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজির চারটি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
গত ২৩ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চারটি মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে গতকাল শনিবার (৪ জানুয়ারি) লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষ বলে, মামলা বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা সঠিক হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে বিভিন্ন ব্যক্তি বাদী হয়ে গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ ও ধানমন্ডি থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এসব মামলা করেন। মামলা দায়েরের বৈধতার প্রশ্নে হাইকোর্টে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ (ক) ধারায় আবেদন করা হয়।
আরটিভি/এসএইচএম
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরও যত মামলা রয়েছে, জানালেন কায়সার কামাল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরও ১৮ থেকে ১৯ টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এর আগে, এদিন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজির চারটি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এ বিষয়ে কায়সার কামাল বলেন, এ আদেশের ফলে তারেক রহমান সাহেবের বিরুদ্ধে এই চারটি মামলা আর চলবে না।
তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেন ও শেখ হাসিনা সরকার যেসব মামলা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করেছে সবগুলো ছিল মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক। আদালত চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে দেখেছেন এই মামলাগুলোর আইনগত কোনো ভিত্তি ছিল না।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজধানীর গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ ও ধানমন্ডি থানায় বিভিন্ন ব্যক্তি বাদী হয়ে এই চারটি মামলা করেন।
আরটিভি/আরএ