রাজীবের মৃত্যু : ২ বাস চালকের বিরুদ্ধে চার্জশিট
কারওয়ান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের মৃত্যুর মামলায় দুই বাস চালকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মিয়ার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই ইদ্রিস আলী।
চার্জশিটভূক্ত আসামিরা হলেন- বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ ও স্বজন বাসের চালক খোরশেদ।
২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান ছাত্র রাজীব। তার ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে তিনি মারা যান।
এসএস
মন্তব্য করুন
ফেসবুক-ইউটিউব থেকে শেখ হাসিনার যেসব বক্তব্য সরাতে হবে
জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব এবং এক্সে প্রকাশিত বক্তব্য অতি দ্রুত সরাতেও বলা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অতি দ্রুত এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার সাধারণ ও রাজনৈতিক বক্তব্য প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আবেদন ট্রাইব্যুনাল শুনেছেন এবং মঞ্জুর করেছেন।বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন যে, যেসব হেটস্পিচ (বিদ্বেষমূলক বক্তব্য) এখনো আছে, সেগুলো যেন অতি দ্রুত রিমুভ (সরানো) হয়।
ফেসবুক, এক্স এবং ইউটিউবসহ আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে ট্রাইব্যুনালের আদেশটি পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর।
ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান। এরপর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ঘোষণা দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ দেড়শোর বেশি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। গ্রেপ্তার আছেন সাবেক ১০ মন্ত্রীসহ ২৫ জন। এ ছাড়াও রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১৮ নভেম্বর জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
আরটিভি/এআর
আইনজীবী সাইফুল হত্যা: দুই আসামি রিমান্ডে
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার দুই আসামিকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে প্রধান আসামি চন্দনকে ৭ দিনের এবং আরেক আসামি রিপন দাসকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, সাইফুল হত্যা মামলার দুই আসামিকে শুক্রবার আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক আইনজীবী শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। শুনানি শেষে প্রধান আসামি চন্দনকে ৭ দিন এবং আরেক আসামি রিপনকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিসেবে চন্দনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে তাকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়। ওইদিনই সন্ধ্যায় হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে শনাক্ত আরেক আসামি রিপন দাসকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সম্মিলিত সনাতন জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ করেন তার অনুসারীরা। এ সময় চিন্ময়ের প্রিজন ভ্যান আটকে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে, টিয়ারগ্যাস ছুড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আশপাশের এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে সেই সংঘর্ষ। ওই সময় রঙ্গম কনভেনশন হলের পাশের গলির ভেতরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই দিনের ঘটনায় আরও ৫টি মামলা রুজু হয় কোতোয়ালি থানায়।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
ওসি প্রদীপের সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী চুমকির জামিন
দুদকের মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী চুমকি কারণকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর ফলে চুমকি কারণের কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। আদালতে চুমকির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ।
২০২০ সালের ২৩ আগস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। মামলায় প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
এরপর এই মামলায় ২০২২ সালের ২৭ জুলাই অন্য একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপকে ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকিকে ২১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার শুরু থেকে পলাতক থাকলেও গত বছরের ২৩ মে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিন চুমকি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আরটিভি/এফএ/এআর
জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারে আইনি নোটিশ
ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ ঘটনায় সম্পৃক্ত তার অনুসারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোবাবর (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) ও মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ নোটিশ পাঠান হয়।
নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনজীবী সবুজ খান।
আইনি নোটিশে বলা হয়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেলেও জাতীয় পার্টি সদস্যদের ও শেখ হাসিনার নামে অসংখ্য হত্যা মামলা হয়। তবে জাতীয় পার্টি কৌশল অবলম্বন করে গ্রেপ্তার এড়িয়ে যায়। কিন্তু বিগত আমলগুলো দেখলে ও বিগত হাসিনা সরকারের শাসনামল দেখলে লক্ষ্য করা যায়, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে স্বৈরাচারী সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করেছে। জাতীয় পাটির ওপর ভর করে শেখ হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে দিয়েছে এবং ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছে। শুধুমাত্র তথাকথিত বিরোধী দল থাকার জন্য স্বৈরাচারের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অবাধ লুটপাট করেছে। তাই সব অপরাধের দায় তাদেরকেও নিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রীরা হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেও জাতীয় পার্টি অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে। আইন সবার জন্য সমান হলেও জাতীয় পার্টির দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের তা এড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ১৪ দলের নেতারা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হলেও জি এম কাদেরসহ তার অনুসারীদের আইনের আওতায় নিয়ে না আসায় জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মর্মাহত।
জি এম কাদের মিরপুর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি। অথচ তাকে এই মামলার আসামির চোখে দেখা হচ্ছে না। দ্রুত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে শহিদদের আত্মার প্রতি সুবিচার করার অনুরোধ জানান আইনজীবী সবুজ খান।
আরটিভি/আরএ-টি
কারাগারে হাই কমোড চাইলেন পলক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী মানিক মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে, আজ সকালে পলককে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক শেখ হাদীউজ্জামান ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আসামির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন।
পরে শুনানিতে পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, পলককে ৪৬ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি ৩১ দিন রিমান্ডে ছিলেন। গত ৯ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি ভিত্তিতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দেখা যায়, তিনি কোমরের ব্যথায় ভুগছেন। এ অবস্থায় তিনি ট্রাভেল করতে পারবেন না। লো কমোড ব্যবহার করতে পারবেন না, হাই কমোড লাগবে।
পলকের এই আইনজীবী বলেন, বারবার সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে রিমান্ডে নেওয়া হলেও কোনো তথ্য উদঘাটন হচ্ছে না। শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তার রিমান্ড বাতিলের প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা একটা লিস্ট পেয়েছি। সেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১৫৮১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তো ১৫৮১টি মামলা হওয়া উচিত। আর কোর্টে আসলে অসুস্থতার শেষ নেই। কোর্টে আসার মতো পরিস্থিতি থাকে না। বাইরে থাকলে হত্যাকাণ্ড চালাতে দ্বিধাবোধ করেন না। আরও হত্যা মামলা তার বিরুদ্ধে আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট ঢাকার চানখারপুলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান শিক্ষার্থী মানিক মিয়া। এ ঘটনায় রাজু আহমেদ নামে একজন বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে শেখ হাসিনাসহ ৭৯ জনের নামে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার দুই নম্বর এজাহারনামীয় আসামি জুনাইদ আহমেদ পলক।
আরটিভি/আইএম
‘জয় বাংলা’ আর জাতীয় স্লোগান নয়, হাইকোর্টের রায় স্থগিত
জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
এর আগে, জয় বাংলা কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ২ ডিসেম্বর এ তথ্য জানান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
২০২০ সালের ১০ মার্চ জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ের দিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী ড.বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদালত বাংলায় রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান এবং জয় বাংলা ৭ মার্চের ভাষণের সাথে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
রায়ে জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে এবং জাতীয় দিবস, সরকারি অনুষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্লোগানটি উচ্চারণের জন্য পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়। ২০১৭ সালে ওই রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
আরটিভি/এমএ
শেখ হাসিনা পরিবারের ৫ বিলিয়ন ডলার লোপাট : দুর্নীতির অনুসন্ধানে রুল
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
রিটে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটের বিবাদী করা হয়। গত ১৯ আগস্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাট করেছেন।
আরটিভি/কেএইচ