• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo

দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ১৭৯ নাগরিকের বিবৃতি

আরটিভি নিউজ

  ২৬ জুলাই ২০২৪, ২১:৩৭
ফাইল ছবি।

কোটা আন্দোলন ইস্যুকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের দেশব্যাপী সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের নিন্দা জানিয়ে ১৭৯ জন নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ১৬ জুলাই থেকে নাশকতামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা বিটিভি ভবন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেতু ভবন, মেট্রোরেল, বিআরটিএ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ডিজিটাল ডাটা সার্ভার স্টেশন, কারাগার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, নবনির্মিত এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, কারাগারে হামলা করে অস্ত্র লুটসহ জঙ্গিদের পালিয়ে যাওয়ায় সহায়তা করা হয়েছে। এতে দুস্কৃতকারীরা জনজীবন বিপন্ন ও দুর্বিসহ করে তোলাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ ও হত্যার মাধ্যমে নিজেদের স্বরূপ উন্মোচিত করেছে। আমরা এই ধরনের দেশবিরোধী কার্যক্রমের নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে এ বিষয়ে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও যারা বিদেশি হস্তক্ষেপ আহ্বান করেছে তাদের নেতিবাচক ভূমিকার নিন্দা জানাই।

বিবৃতিদাতারা আরও বলেন, এই গোষ্ঠী ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আক্রমণ ও নাশকতা চালিয়েছে। এরই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বর্তমানের এই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম।

কোটা সংস্কারে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এর মাধ্যমে ছাত্রদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়ার সময়।

একইসঙ্গে সবার প্রত্যাশা- কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে যে সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে পুনরায় অগ্নিসন্ত্রাস, রাষ্ট্রীয় গৌরবোজ্জ্বল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং জনজীবন বিপন্ন করেছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সামগ্রিক বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিদাতারা বলেন, দেশের অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত জনগণের সমর্থন নিয়ে জাতি তা দ্রুত পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। একইসঙ্গে নাগরিক সমাজের পক্ষে কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী দেশবাসীকে এই ধ্বংস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে সই করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, অবসরপ্রাপ্ত সচিব বীরপ্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান, চিত্রশিল্পী রফিকুন্নবী, সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সাবেক আইজিপি ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নাট্যব্যক্তিত্বসহ ১৭৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি কারাগারে
সাবেক মন্ত্রী শাজাহান ৭ দিনের রিমান্ডে
শহীদি মার্চ থেকে ৫ দাবি 
‘শহীদি মার্চে’ ছাত্র-জনতার ঢল