শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনে করে ভারত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর তাকে অভিনন্দন জানিয়ে দেওয়া আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়েও উঠে আসে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ওই ব্রিফিংয়ে ভারতীয় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাকি ‘নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে বিবেচনা করছে ভারত? জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করে ভারত।
তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে আগেই বলেছি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান এটাই।
এর আগে, গত ১৮ অক্টোবরের ব্রিফিংয়ে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। নিরাপত্তার কারণে অল্প সময়ের নোটিশে তিনি ভারতে চলে এসেছিলেন। এখনও আছেন, থাকবেন।
এদিকে, গত ২৪ অক্টোবর ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’ শেখ হাসিনার অবস্থান নিশ্চিত করে সংবাদ প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত দুই মাস ধরে নয়াদিল্লির লুটিয়েনস বাংলো জোনের একটি সেইফ হাউসে বসবাস করছেন।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, লুটিয়েন্স বাংলো এলাকাটিতে ভারতের মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়ির মতো একটিতে শেখ হাসিনাকে থাকতে দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রোটোকলসহ মাঝে মাঝে দিল্লির লোধি গার্ডেনে হাঁটাহাঁটি করেন। তার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
পলাতক হাসিনার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার রক্ষার স্বার্থে দ্য প্রিন্ট বাড়িটির প্রকৃত ঠিকানা বা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ করেনি।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা গণভবন ছেড়ে ভারতে চলে যান। কিন্তু জুলাই-আগস্টে গণহত্যার দায়ে ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শুধু তাই নয়, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ ও ‘গণহত্যার’ অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করা হয়।
আরটিভি/আরএ/এআর
মন্তব্য করুন