পররাষ্ট্র সচিব হলেন মাসুদ বিন মোমেন
বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিয়োগ পেলেন মাসুদ বিন মোমেন।
আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘এই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে যে, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’
তিনি পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। শহীদুল হক গতকাল সোমবার অবসরে গেছেন।
মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
এমকে
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার কণ্ঠসদৃশ ফোনালাপ ভাইরাল, যা বলছে অন্তর্বর্তী সরকার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠসদৃশ একটি ফোনালাপ সামাজিকমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। তিন মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ফোনালাপটি নিয়ে রোববার (২৭ অক্টোবর) রাত থেকে আলোচনার শুরু হয়।
নতুন এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠের মতো একজনকে বলতে শোনা গেছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তোমাদের বাড়িঘরে যারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, তাদের বাড়িঘর নেই? সব কথা কি বলে দিতে হয়? বর্তমানে এই সরকারকে মানুষ ব্যর্থতার চোখে দেখছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অডিও রেকর্ড না দেখে, শুনে বলতে পারব না। ডিপ ফেকের মাধ্যমে অনেক সময় কণ্ঠ নকল করা যায়।
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। সরকার শুধু ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে।
রোববার রাতে নতুন এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠ সদৃশ একজনকে বলতে শোনা যায়, ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তোমাদের বাড়িঘরে যারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, তাদের বাড়ি ঘর নেই? সব কথা কি বলে দিতে হয়?
ফোনকলের অন্য প্রান্তের কণ্ঠটি গোবিন্দগঞ্জের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাকিল আলম বুলবুলের দাবি করা হচ্ছে। তিনি বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন।
ফোনালাপে শেখ হাসিনা বলেন, যারা এখন বেশি বেশি বাড়াবাড়ি করছে। বেশি ভালো থাকবেন না আপনি। দেখো ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই শত্রুরা টেকে কি না? কাউকে পালাতেও দেওয়া হবে না। যে কয়টা নাফরমানি করছে তাদের একটাও আস্ত থাকবে না।
এ সময় অন্য প্রান্ত থেকে শাকিল বলেন, জ্বি নেত্রী, আলহামদুলিল্লাহ। আপনার কথায় আমরা ভরসা রাখছি।
শেখ হাসিনা বলেন, একদম একদম।
তখন শাকিল বলেন, আপনি একটু মাথা ঠান্ডা রেখে আপনার কৌশলে এগোন নেত্রী। তবে সবাইকে সব কাজ বরাদ্দ রেখে।
শেখ হাসিনা বলেন, ঠিক আছে, আমি সবাইকে বলছি, তোমরা শুধু দুই মাস অপেক্ষা করো। কিছু বলো না।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, জ্বি নেত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ওরা ফেল করবে, আর আমরা যদি কিছু করি, তখন বলবে আমাদের জন্য করতে পারে নাই। সেটা আর বলার মুখ নেই। জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবেও ওই যে সুদখোর ইউনূসের গুটি গুটি চেহারার দ্বার আটকে গেছে মানুষের কাছে।
শাকিল বলেন, জ্বি নেত্রী অলরেডি বাংলার মানুষ বুঝে গেছে। মানুষ ভয়তেই কেউ মুখ খুলতে পারছে না।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এখন ওদের ভয় দিতে হবে।
ওই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, জ্বি নেত্রী, ওই যে আমাদের গোবিন্দগঞ্জের কালাম ভাই এমপি আর আমি উপজেলার চেয়ারম্যান বর্তমান ছিলাম নেত্রী, আর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পরপর ছিলাম দুবার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। ওনার বাড়ি গাড়ি সব জ্বালাই পুড়াই দিছে। আমারও বাড়ি গাড়ি সব জ্বালাই পোড়াই দিছে নেত্রী। আমাদের অসংখ্যা মামলা দিছে, আপনি শুধু আমাদের জন্য দোয়া রাখবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, না আমি একটা কথা বলি, তোমাদের বাড়ি পোড়াই দিছে কে?
শাকিল বলেন, ওরাই নেত্রী, জামায়াত বিএনপি সকলই।
শেখ হাসিনা বলেন, তাদের ঘর-বাড়ি নেই?
শাকিল বলেন, জ্বি আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাহলে, সবকিছু কি প্রকাশ্যে করতে হয়।
শাকিল বলেন, জ্বি না, না নেত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, তোমাদের নাই, তাহলে কারো ঘর-বাড়ি থাকবে না।
শাকিল বলেন, একটা সংশয় নেত্রী, মাননীয় নেত্রী গোবিন্দগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সেক্রেটারি, তাদের নামে একটি মামলাও হয়নি। কিংবা তাদের বাড়ি-ঘরেও ওরা যায়নি। ওরা কিভাবে এটাকে?
শেখ হাসিনা বলেন, শোনো ওরা দেখে যেগুলি পোটেনশিয়াল, যেগুলি দেখে একেবারেই শক্ত তাদের ওরা তালিকা করে। সবাইকে কাউন্ট করে না। সেইজন্য বললাম, যাদের বাড়িঘর পোড়া গেছে, তাদের হিসাব নেওয়া হচ্ছে, কারা পোড়াতে আসছিল, আর আমার বাড়ি যদি পোড়ে তাদেরও পুড়বে।
শাকিল বলেন, জ্বি নেত্রী, জ্বি নেত্রী আলহামদুলিল্লাহ। আপনার সঙ্গে কথা বলে বুকটা ভরে গেল নেত্রী। আপনি ভালো থাকবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মামলা, আমারতো শুধু গোবিন্দগঞ্জ না, আমারতো সারা বাংলাদেশে ২২৭টি মার্ডার কেস। আমি বলছি সবাই তালিকা কর। তোমরাও তালিকা কর। ২২৭ মার্ডারের লাইন্সেস পেয়ে গেছি। এক মামলায় যে শাস্তি, শোয়া দুইশো মামলায় একই শাস্তি। তাই না। ঠিক আছে সেই শাস্তি নেব। তার আগে শোয়া দুইশো হিসাব করে নেব। এটা যেন মাথায় থাকে।
শাকিল বলেন, ইনশাআল্লাহ, ইনশাআল্লাহ।
শেখ হাসিনা বলেন, এবার একবার আসতে পারলে কেউ ফেলাইতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
আরটিভি/একে
লাখ টাকা কমছে হজের খরচ, প্যাকেজ ঘোষণা বুধবার
হজের খরচ কমাতে এবার দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে আজিজিয়া নামে একটি প্যাকেজ থাকবে, যেটিতে খরচ কমবে প্রায় এক লাখ টাকা। অন্যটিতে খরচ কমবে ৪০-৪৫ হাজার টাকা। বিমানভাড়া কমিয়ে এবং হজযাত্রীদের সব ধরনের ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফ করে এবার হজের খরচ কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে ২০২৫ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। সেখানে তিনি প্রথমবারের মতো দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করবেন।
জানা গেছে, দুই ধরনের প্যাকেজের মধ্যে একটি হলো, যারা মসজিদুল হারামের আশপাশের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকবেন। এতে গত বছরের তুলনায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা কমতে পারে। অন্যটি হবে আজিজিয়া প্যাকেজ বা হেরেম শরিফ থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে যারা থাকবেন। এ ক্ষেত্রে খরচ প্রায় এক লাখ টাকা কমতে পারে। তবে এবার সমুদ্রপথের বা বিশেষ কোনো প্যাকেজ থাকছে না বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
গত বছর সাধারণ হজের প্যাকেজ ছিল ৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এবার সেটি কমিয়ে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে। প্যাকেজটিতে মক্কা ও মদিনায় হেরেম শরীফ থেকে গড়ে দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। যা আজিজিয়া প্যাকেজ নামে অভিহিত হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানান, এবার দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। এর মধ্যে হোটেল কাছে ও দূরের বিষয় থাকবে। একটি প্যাকেজে এক লাখ টাকার বেশি, অন্যটিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা কমছে এটা নিশ্চিত।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ জানিয়েছে, গত বছরের চেয়ে এবার বিমান ভাড়া ৩৫ হাজার টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ অংশে আরও কিছু সেবার দাম কমিয়ে আনা হচ্ছে। সৌদি অংশে দুটি খাতের খরচ কমানো হচ্ছে।
হজ অনুবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় যে প্যাকেজটি থাকবে সেটির নাম হবে আজিজিয়া প্যাকেজ। মক্কার হেরেম শরিফ থেকে দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে আজিজিয়া এলাকা। সেখানে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীরা অবস্থান করেন। বাংলাদেশিরা এখানে থাকতে চান না। কারণ, খাবার হোটেল ও যাতায়াতের সুব্যবস্থা না থাকা। সেখানে তুলনামূলক হোটেল খরচ কম হওয়ায় এই প্যাকেজে খরচ কমছে এক লাখ টাকার বেশি। তবে এই প্যাকেজে কতজন হজযাত্রী পাওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিভিন্ন হজ এজেন্সি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মক্কার হেরেম শরিফ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে আজিজিয়া নামক স্থানের সঙ্গে মিল রেখে এ প্যাকেজের নাম ‘আজিজিয়া’ রাখা হচ্ছে। ২০২০ সালে তৎকালীন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত শেখ মো. আবদুল্লাহ এ প্যাকেজ চালুর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু করোনার কারণে তা আটকে যায়। দুই বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে পুনরায় হজ চালু হলে এটি নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। কিন্তু ২০২৩ সালে হজের খরচ দেড় লাখ টাকা বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে এ প্যাকেজ চালুর উদ্যোগ নেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। কিন্তু নানা কারণে সেই বছর সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। এবার সেই প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
নতুন এ প্যাকেজে বিমান ভাড়া, আবাসনসহ অন্য খরচ সমন্বয় করলে এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ কমে যাবে। এটি হলে সাড়ে ৫ লাখ টাকার মধ্যে হজ করা সম্ভব হবে। ফলে অনেকেই হজে যাওয়ার সাহস দেখাবেন বলে মনে করছেন হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা। এই প্যাকেজ জনপ্রিয়তা পেলে ভবিষ্যতে এর খরচ আরও কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ অনুবিভাগ) মতিউল ইসলাম বলেন, হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এটি নিয়ে সমালোচনা ঝড় ওঠে। এজন্য এবার দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। যারা হেরেম শরিফ থেকে একটু দূরে থাকতে চান তাদের জন্য এ প্যাকেজ।
আরটিভি/এআর/এসএ
অচিরেই বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ও আ.লীগের জায়গা হবে না: ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের অচিরেই কোনো জায়গা হবে না।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো ফ্যাসিবাদী দলের অস্তিত্ব থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, তারা (রাজনৈতিক) মেকানিজম তৈরি করেছে, তারা নিজ স্বার্থে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করেছে।
তিনি জানান, বর্তমান সরকার অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতকে চাপ দেবে না। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ তার বড় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনা এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ হয়তো ভেঙে যেতে পারে, কিন্তু তার সরকার এমন কিছু করবে না। কারণ, তারা রাজনৈতিক সরকার নয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছে। এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলার রায় ঘোষণার পর ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। আমি মনে করি না যে রায় হওয়ার আগে এটা করার দরকার আছে।
তিনি জানান, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নিতে পারবে কি না, তা রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাদেরকেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক স্থান নির্ধারণ করতে হবে।
রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বা রাজনৈতিক দল গঠনের কোনো ইচ্ছা নেই বলে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ড. ইউনূস।
তিনি জানান, তার সরকার এখন পর্যন্ত নির্বাচনের রূপরেখাও চূড়ান্ত করেনি। তাদের কাজ সবকিছু স্বাভাবিক করা এবং সংস্কার সম্পন্ন করা। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ও হিন্দুদের ওপর ব্যাপক নৃশংসতা নিয়ে দেশটির অভিযোগ প্রসঙ্গেও সাক্ষাৎকারে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন ড. ইউনূস।
তিনি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানান, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার কিছু ঘটনা ঘটেছে এবং খুব অল্পসংখ্যক প্রাণহানি হয়েছে। তবে এসব ঘটনা ধর্মের ভিত্তিতে হয়নি। এর প্রধান কারণ, আওয়ামী লীগের অনুসারী হিসেবে টার্গেট করা হয়েছে। হামলার শিকার অধিকাংশ হিন্দু আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। এটাকে ভিন্ন রূপ দেওয়া হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রতিবেশী। আমাদের একে অপরের প্রয়োজন। আমাদের মধ্যে অবশ্যই সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক থাকতে হবে, যেমনটি দুই প্রতিবেশীর থাকা উচিত।
আরটিভি/এসএপি-টি
দেশের বাজারে সব রেকর্ড ছাড়াল স্বর্ণ
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভরিতে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের ভরিপ্রতি স্বর্ণ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ১৭ হাজার ৪৩৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৬ হাজার ৫২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের নতুন এ দাম বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে।
বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, গত ২২ অক্টোবর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৪৫ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২৮ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
আরটিভি/আরএ
৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ, শেখ মুজিব-হাসিনার নাম বাদ
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজসহ ৬টি মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের ৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে নিম্নবর্ণিতভাবে নামকরণ করা হলো। এর মধ্যে মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ, জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া নতুন নামকরণের তালিকায় রয়েছে টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ এবং দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের নাম। এগুলো যথাক্রমে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এবং দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
আরটিভি/এফএ-টি
নতুন দায়িত্ব পেলেন আইন উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এখন থেকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা জানান।
তিনি জানান, ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর পদত্যাগের কারণে বর্তমানে জাতীয় সংসদের স্পিকারের পদটি শূন্য রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বও আইন উপদেষ্টাকে অর্পণের সিদ্ধান্ত হয়। আইন উপদেষ্টা এখন থেকে তার ওপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বের পাশাপাশি এ দায়িত্বও পালন করবেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/এআর/এসএ
প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রী-এমপি পদে দুইবারের বেশি নয়, কমিশনে প্রস্তাব
একই ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য পদে দুবার এবং দলের সভাপতি বা সেক্রেটারিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে তিন বারের বেশি থাকতে পারবেন না বলে নির্বাচনবিষয়ক সংস্কার কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এমন আইন আনতে সরকারের কাছে সুপারিশের জন্য নির্বাচনবিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারের কাছে প্রস্তাব করেছে মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (মওসুস)।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া লিখিত আকারে ২৩ দফা প্রস্তাব করেছেন।
এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনার নিমিত্তে সংবিধান সংশোধন করতে হবে এবং একই ব্যক্তির পরপর দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী থাকার সুযোগ বন্ধ করতে হবে। একইভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ পদে পরপর দুই বা তিন মেয়াদের বেশি কেউ থাকতে না পারে সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনতে হবে এবং এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কার্যকরী ভূমিকা রাখবেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপি পদেও দুইবারের বেশি কেউ থাকতে পারবেন না।
এদিকে দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে নেতা নির্বাচন করা, রাজনৈতিক অপরাধের বিচারের জন্য পলিটিক্যাল ট্রাইব্যুনাল ও পলিটিক্যাল আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন, শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন সংশোধন, দলগুলোর মনোনয়ন বাণিজ্য রোধ, রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়নে জাতীয় লিডারশিপ ইনস্টিটিউট গঠন, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভার প্রবর্তন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সৎ, যোগ্য সাহসী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় প্রভাবমুক্তকরণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয়করণ, একাধিক দিনে সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থাকরণ, এনআইডি ব্যবস্থাপনা ইসির অধীনেই রাখা, তিন পার্বত্য অঞ্চলে তিন সংসদীয় আসন ও ঢাকার জন্য ১১টি আসন সংরক্ষণ করা, সকল প্রার্থীকে এক মঞ্চে এনে প্রচারের ব্যবস্থা, প্রার্থীদের সকল তথ্য ভোটারদের কাছে প্রকাশ করা, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার প্রচলন, হলফনামা ও মনোনয়ন ফরম সংশোধন, প্রার্থী হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দলের ন্যূনতম তিন বছরের সদস্যভুক্ত থাকা, নির্বাচন কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, ব্যবসায়ীদের রাজনীতিতে আসার পথ সীমিত করার বিধান আনার জন্যও প্রস্তাব করা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি/এসএ