• ঢাকা শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১
logo

কীভাবে নির্ধারিত হয় রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৫ জুন ২০২০, ১০:৪৩
How the red, yellow and green zones are determined
কীভাবে নির্ধারিত হয় রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে এবং একই সঙ্গে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে জোনভিত্তিক লকডাউনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন কার্যকর করতে রোববার একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গাইডলাইনে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন নির্ধারণের কথা থাকলেও, ঠিক কোন পদ্ধতিতে এই জোনগুলো নির্ধারণ করা হয়; জনসাধারণের এ বিষয়ে তেমন কোনো ধারণা নেই।

কী আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইডলাইনে

সাধারণত তিন পদ্ধতিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

১. প্রাথমিক নির্দেশক হিসেবে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি লাখে কতজন করোনা পজেটিভ রোগী চিহ্নিত হয়েছে।

২. দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক নির্দেশক হচ্ছে- পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে কেসের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, সংক্রমণ বৃদ্ধির হার, রোগের লক্ষণভিত্তিক নজরদারি, অভ্যন্তরীণ অধিক সঞ্চরণশীলতা, অধিক দারিদ্র্য, খাবারের অপ্রতুলতা, নমুনা পজেটিভের হার, পরীক্ষিত নমুনার রিপোর্ট প্রদানে বিলম্ব ও পরীক্ষার পর্যাপ্ততা।

৩. এছাড়া গাইডলাইনে বলা হয়, বাংলাদেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ, মহানগরী, ওয়ার্ড, মহল্লা সবকিছু এই অঞ্চলায়নের অন্তর্ভুক্ত হবে। এই অঞ্চলায়নের সময় মহানগরীগুলোর ক্ষেত্রে, ইপিআই এলাকা বা অন্য কোনো সহজ পদ্ধতি (আকৃতিগত, প্রকৃতিগত অথবা সুবিধা মতো সীমানা) ব্যবহার করা হবে, যাতে করে অঞ্চলগুলোকে সুনির্দিষ্ট করা যায়।
যেভাবে রেড জোন নির্ধারণ করা হয়
শুধু ঢাকা মহানগরীতে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে ৬০ জন বা এর অধিক করোনা রোগী শনাক্ত হলে সেই এলাকা রেড জোনের আওতাভুক্ত হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্যান্য এলাকায় পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে ১০ জন বা এর অধিক শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা রেড জোন হিসেবে গণ্য হবে।

ইয়েলো জোন নির্ধারণ যেভাবে
ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখ জনে ৩-৫৯ জন শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা ইয়েলো জোনের আওতাভুক্ত হবে। এছাড়া ঢাকার বাইরে অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে ৩-৯ জন শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা ইয়েলো জোন হিসেবে গণ্য হবে।

গ্রিন জোন নির্ধারণ যেভাবে
রেড ও ইয়েলো জোনের বাইরে দেশের বাকি ভৌগোলিক অংশকে গ্রিন বা সবুজ জোন বলা হয়েছে। এখানে দুই ধরনের এলাকা আছে। যে সকল এলাকায় জোনিংয়ের শুরু থেকে কোনো কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি এবং যেসব এলাকায় পূর্ববর্তী ১৪ দিনে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৩ জনের কম সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
পি

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রেডিও জকি সিমরানের রহস্যজনক মৃত্যু
বিগত দিনে চাকরিচ্যুতদের অনশন ভাঙালেন বংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ নিয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল: তাজুল ইসলাম
বাতিল করা প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পুনর্বিবেচনা করবে সরকার