গান, কবিতায় শিশু একাডেমিতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে ‘৭ই মার্চের গল্প শোনো’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেটা ইতিহাসে একবারই আসে, শতাব্দীতে একবারই আসে, মহাকালে একবারই আসে। দেবদূতের মত দৈবদূতের মত আসে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণের শুরুতে ‘ভাইয়েরা আমার’ বলেই উপস্থিত সকল মানুষকে আপন করে নিয়েছিলেন। তার বক্তব্যের যে ভাষা তা ছিল মহাকাব্যের মত।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু ভাষণ নয়। নানান দিক থেকে এই ভাষণ বৈচিত্র্যময়। সেদিন বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের অঙ্গভঙ্গি, শব্দচয়ন, উচ্চারণ, বক্তব্য, উপস্থাপন সবকিছুর মাঝেই ছিল এক অন্যরকম স্পৃহা, প্রতিশোধের জেদ। অলিখিত এই বক্তব্য ছিল ঐশ্বরিক। এই ভাষণের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম। তিনি বলেন, পাকিস্তানের কারাগারে জল্লাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু কোন আপোষ করেননি। অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে সবধরনের শোষণের বিরুদ্ধে তিনি বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলেছেন। তাঁর কীর্তি, মহত্ত্ব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রাণিত করবে, সাহস যোগাবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী শিশু শিল্পীদের গান কবিতায় স্মরণ করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ৭ই মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ, শিশু এবং অভিভাবকবৃন্দ।
মন্তব্য করুন